
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং তাঁর কাছে দোয়া কবুল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মুমিন হৃদয়ের চিরচেনা প্রত্যাশা। তবে এমন কিছু সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাদের জন্য স্বয়ং ফেরেশতারা আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। আর যখন সেই ফেরেশতারা হন আরশ বহনকারী, তখন বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
"ফেরেশতারা আল্লাহর নিষ্পাপ মাখলুক, তারা কারো জন্য দোয়া করলে সেটি কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি"
আল্লাহ তাআলার প্রিয় সৃষ্টি ফেরেশতারা সর্বদা তাঁর নির্দেশ পালন করে থাকেন। তারা তাঁর প্রশংসা করেন, তাসবিহ পাঠ করেন এবং কোনো আদেশ অমান্য করেন না। ফেরেশতারা নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ এবং দায়িত্বশীল এক বিশেষ সৃষ্টিজগত। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মানুষের আমলনামা লেখেন, কেউ বিপদে রক্ষা করেন, কেউ আবার পরকালে শাস্তি প্রদান করেন। এর মধ্যেই একটি শ্রেণি আছেন যারা আল্লাহর আরশ বহন করেন।
"যারা ঈমান এনেছে, তওবা করেছে ও আল্লাহর পথ অনুসরণ করেছে, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা"
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে,"যারা আরশ বহন করে এবং তার চারপাশে যারা আছে, তারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করে, তাঁর প্রতি ঈমান রাখে এবং যারা ঈমান এনেছে, তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে। তারা বলে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রহমত ও জ্ঞান সমস্ত কিছুকে পরিব্যাপ্ত করেছে। অতএব যারা তওবা করেছে ও তোমার পথে চলেছে, তাদেরকে ক্ষমা করো এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।'"
এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ফেরেশতারা তিন শ্রেণির মানুষের জন্য দোয়া করেন:
১. যারা ঈমান এনেছে,
২. যারা তওবা করেছে,
৩. যারা আল্লাহর পথ অনুসরণ করে।
যদি কেউ এই তিনটি গুণ অর্জন করতে সক্ষম হয়, তবে ফেরেশতাদের দোয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া তার জন্য এক অনন্য সৌভাগ্যের বিষয়। কেননা ফেরেশতারা যাদের জন্য দোয়া করেন, তাদের প্রতি আল্লাহর দয়ার দরজাও উন্মুক্ত হয়।
আপনি কি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন হতে চান? তাহলে ঈমানকে দৃঢ় করুন, তওবা করুন এবং একান্তভাবে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার চেষ্টা করুন। কেননা, ফেরেশতাদের দোয়া এক অপার রহমতের নিশ্চয়তা, যা আপনাকে দিতে পারে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।
সূত্র:https://tinyurl.com/5xt5tab6
আফরোজা