ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে কীভাবে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে হয়!

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১৯ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৩:০৫, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে কীভাবে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে হয়!

ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী দৃষ্টিকোণে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দিন তালুকদার হাফেজুল্লাহ তাঁর আলোচনায় এ বিষয়ে কয়েকটি মূলনীতি তুলে ধরেছেন।

 

 

প্রথমত, নেতার নৈতিকতা ও ঈমানদারি অপরিহার্য। নবীজি (সা.) সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যখন নেতৃত্বে নিকৃষ্ট চরিত্রের লোকেরা আসবে, তখন তা কিয়ামতের নিকটবর্তী হওয়ার আলামত। তাই নেতাকে অবশ্যই আমানতদার, সত্যবাদী ও আল্লাহভীরু হতে হবে। কোরআনে হযরত ইউসুফ (আ.)-এর উদাহরণে দেখা যায়, তিনি নিজের দুটি গুণের কথা উল্লেখ করেন- "আমি রক্ষক ও জ্ঞানী", যা নেতৃত্বের জন্য নৈতিকতা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়কে নির্দেশ করে।  

 

 

দ্বিতীয়ত, নেতার মধ্যে যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা তালুতকে নেতা হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন তাঁর শারীরিক শক্তি ও জ্ঞানগত শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে। একইভাবে, হযরত মুসা (আ.)-কে শুয়াইব (আ.)-এর মেয়েরা নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন তাঁর শক্তি, জ্ঞান ও আমানতদারির গুণের কারণে। এ থেকে বোঝা যায়, নেতাকে শুধু নৈতিকতাই নয়, বরং কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাও রাখতে হবে।  

 

 

তৃতীয়ত, নেতাকে অবশ্যই বিনয়ী ও জনসেবাপরায়ণ হতে হবে। রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বাধিক বিনয়ী, এবং তাঁর এই গুণই তাঁকে মানুষের হৃদয়ে স্থান দিয়েছিল। অহংকার ও দম্ভ নেতাকে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, ফলে তিনি প্রকৃত নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হন। নেতার মূল দায়িত্ব হলো জনগণের সেবা করা, নিজের স্বার্থ নয়। কোরআন ও হাদিসে বারবার এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে যে, নেতৃত্ব কোনো বিশেষাধিকার নয়, বরং এটি একটি আমানত ও দায়িত্ব।  

 

 

সর্বোপরি, ইসলামী নেতৃত্বের আদর্শ হলো ন্যায়বিচার, দায়িত্বশীলতা ও জনকল্যাণ। নেতা যদি এই গুণাবলি ধারণ করেন, তবেই তিনি সমাজের জন্য কল্যাণকর হতে পারবেন। তাই নেতা নির্বাচনের সময় অবশ্যই নৈতিকতা, যোগ্যতা, বিনয় ও সেবার মনোভাবকে প্রাধান্য দিতে হবে, যাতে সমাজে সুশাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

সূত্র:https://youtu.be/QorFVHJrjkI?si=EzJrnF8spqbcnk_O

আঁখি

×