ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

নিজের অজান্তেই কবীরা গুনাহ করছেন? জেনে নিন সবচেয়ে বড় ৩টি কবীরা গুনাহ!

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

নিজের অজান্তেই কবীরা গুনাহ করছেন? জেনে নিন সবচেয়ে বড় ৩টি কবীরা গুনাহ!

সংগৃহীত

ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। এই পরীক্ষায় সফল হলেই মিলবে কাম্য জান্নাত। কিন্তু অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তেই কিছু ভয়াবহ গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ি। ইসলামিক শিক্ষায় এসব গুনাহকে বলা হয় “কবীরা গুনাহ”। এদের মধ্যে কিছু গুনাহ এতটাই মারাত্মক যে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে তাদের জন্য কঠিন সতর্কবার্তা এসেছে। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো এমনই তিনটি বড় কবীরা গুনাহ, যেগুলো মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা ও পরিহার করা জরুরি।


ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মত। পরকালের সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরেই মিলবে কাঙ্খিত জান্নাত। তবে ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবীতে আমরা অজান্তেই গুনাহর ভাগীদার হয়ে পড়ি। কিন্তু আমরা কি জানি নিজেদের অজান্তেই অনেক সময় আমরা কবিরা গুনাহর ভাগীদার হয়ে যাই।


ইসলামে অসংখ্য কবীরা গুনাহর বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস ও আয়াতে স্পষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভয়ঙ্কর গুনাহর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুতর। এই তিনটি গুনাহর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা ও পিতা-মাতার প্রতি অবাধ্য হওয়া।

শিরক:সবচেয়ে বড় জুলুম
হাদিসে যে তিনটি গুনাহর কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। শিরক অর্থাৎ আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা ইসলামের সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ নিজেই শিরককে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জুলুম বলে বর্ণনা করেছেন এবং বারবার শিরক থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরক কখনোই ক্ষমা করবেন না। তিনি বলেছেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করা ক্ষমা করেন না। অন্য কোন গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে মহাপাপ করে।

নিরপরাধ মানুষ হত্যা
দ্বিতীয়ত, নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা। ইসলামে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করা একটি ভয়াবহ অপরাধ। এটি মানুষের হক সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় গুনাহ। কোরআনে এই অপরাধের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা বা জমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচালো সে যেন সব মানুষকে বাঁচালো। এটি এমন একটি অপরাধ, যা শুধু দুনিয়াতে শাস্তি দেয় না, আখিরাতেও এর শাস্তি ভোগ করতে হবে।


পিতা-মাতার প্রতি অবাধ্যতা: পরিণতিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি
তৃতীয়ত, পিতা-মাতার প্রতি অবাধ্য হওয়া। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ এবং তাদের সম্মান করা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরআনে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সদাচরণ করবে।’ তাদের একজন অথবা উভয়ই যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। তাদের জন্য বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বলো, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন, যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।


এই তিনটি গুনাহ ইসলামে বিশেষভাবে উল্লেখিত, যা মুসলিমদের জন্য পরিত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং সচেতন থাকা যেন নিজের অজান্তেই এমন পাপে না জড়িয়ে পড়ি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচার তৌফিক দিন।

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/5yxabmuk

আফরোজা

×