ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

ফিলিস্তিন সংকট কি বিশ্বনবীর ভবিষ্যদ্বাণীরই প্রতিফলন?

প্রকাশিত: ০২:১১, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিন সংকট কি বিশ্বনবীর ভবিষ্যদ্বাণীরই প্রতিফলন?

ছবি: সংগৃহীত

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে ‘শাম’ বলতে বর্তমান সিরিয়া, জর্দান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলকে বোঝানো হতো। এই পবিত্র ভূমিতে বহু নবী ও রাসুল প্রেরিত হয়েছেন। কিয়ামতের পূর্বে এখানেই ঘটবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা—ঈসা (আ.)-এর আগমন, দাজ্জালের মৃত্যু ও হাশরের ময়দানে মানবজাতির সমবেত হওয়া।

শামের মাটিতে সত্যবাদী দলের অবস্থান রাসুলুল্লাহ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তাঁর উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের পক্ষে লড়াই করতে থাকবে এবং আল্লাহর সাহায্যে বিজয়ী থাকবে। বুখারির একটি হাদিসে বলা হয়েছে, কিয়ামত পর্যন্ত তারা বিজয়ী থাকবে। আর মুসনাদে আহমদের একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, এ দলটি থাকবে বায়তুল মাকদিস ও তার আশপাশে।

বায়তুল মাকদিস : হাশরের ময়দান মসজিদুল আকসা ও বায়তুল মুকাদ্দাসের প্রতি সাহাবিদের ছিল গভীর ভালোবাসা। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাতে নামাজ আদায় করতে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন সরাসরি সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে। তখন সহযোগিতা ও হাদিয়া পাঠানোর মাধ্যমে এই পবিত্র ভূমিকে আলোকিত রাখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। হাদিসে এসেছে, বায়তুল মাকদিসে নামাজ আদায়ের সওয়াব অত্যন্ত বেশি—এক ওয়াক্ত নামাজে এক হাজার ওয়াক্তের সমান সওয়াব।

ঈসা (আ.)-এর আগমন ও দাজ্জালের পরিণতি কিয়ামতের আগে ঈসা (আ.) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন সিরিয়ার দামেস্ক শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত শুভ্র মিনারের কাছে। তিনি কাফিরদের ধ্বংস করবেন এবং শেষ পর্যন্ত দাজ্জালকে হত্যা করবেন বাবুল লুদ নামক স্থানে। মুসলিম শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে এসব ঘটনা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।

মুসলিমদের দ্বিতীয় হিজরত ও আশ্রয়স্থল রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, মদিনার পর দ্বিতীয় হিজরত হবে শামের দিকে। তখন শামের মানুষ হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ। দামেস্ক ও এর আশপাশ হবে মুসলিমদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং সেনাছাউনি। হাদিসে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় মুসলমানদের ছাউনি হবে গোতা নামক স্থানে, যা দামেস্কের পাশেই অবস্থিত।

এসব ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত দেয়, কিয়ামতের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, শাম তথা ফিলিস্তিন অঞ্চল তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি সেই দিকেই এগোচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।

আসিফ

×