
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে শান্তির মুখোশ পরে আছে ইসরায়েল। কোরআনের সূরা আল-বাকারায় যে আয়াতের কথা বলা হয়েছে, তা যেন হুবহু মিলে যায় ইসরায়েলিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। শান্তির নামে তারা চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ, দখলদারিত্ব আর নির্মম নির্যাতন। অথচ তারা নিজেদের দাবি করে শান্তির রক্ষক!
বিশ্ববাসী আজ স্পষ্ট দেখছে ইসরায়েলের সেই তথাকথিত শান্তির চেহারা। গাজায় প্রতিদিন চলছে বোমাবর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ আর নিরীহ শিশুদের আর্তনাদ। আল আকসা মসজিদে হামলা, মুসল্লিদের ওপর গুলি, ফিলিস্তিনিদের জমি দখল—এসবই তাদের নৃশংস কর্মকাণ্ডের অংশ। অথচ ইসরায়েল দাবি করছে, তারা সন্ত্রাস দমনের জন্য লড়াই করছে!
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার বলছে, নিরীহ মানুষের ওপর এমন বর্বর হামলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু গাজায় নয়, লেবাননে ১৯৮২ সালে হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটিয়ে, ১৯৮১ সালে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে, এমনকি ইরাক ও সুদানে গোপন সামরিক অভিযান চালিয়েও বিশ্বজুড়ে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব কর্মকাণ্ড অবৈধ হলেও, ইসরায়েল বারবার তা উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও মর্মান্তিক ইতিহাস হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ইহুদিরা ইউরোপে নিপীড়নের শিকার হয়ে আশ্রয়ের খোঁজ করছিল, তখন ফিলিস্তিনিরাই তাদের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেই আশ্রয়ই পরবর্তীতে পরিণত হয় অস্ত্র আর আগ্রাসনের কেন্দ্রে। অকৃতজ্ঞ ইসরায়েল সেই আশ্রয়দাতাদেরই ভূমি থেকে উচ্ছেদ করেছে, রক্তপাত ঘটিয়েছে বারবার।
বারবার জাতিসংঘের রেজুলেশন অমান্য করেও ইসরায়েল নিজেকে শান্তির রক্ষক দাবি করেই চলেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাদের হাতে রয়েছে কেবল নিরীহ মানুষের রক্ত, কান্না আর ধ্বংসস্তূপের স্মৃতি। বিশ্ব আজ এক বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে—ইসরায়েল কি সত্যিই শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে, নাকি শান্তির নামে চালিয়ে যাচ্ছে নির্মম নির্যাতন ও আগ্রাসন? উত্তরটা হয়তো সবারই জানা।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AE19sm1TWLo?si=l6Q-M5KC2Rl7EUV0
এম.কে.