
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। সাগরে ভাসমান দেশটির শতভাগ নাগরিক মুসলমান। প্রাচীনকাল থেকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় থাকা দ্বীপটিতে পবিত্র মাহে রমজান পালিত হয় ধর্মীয় নিয়ম ও স্থানীয় ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গেন এখানকার মুসলমানরা। ইফতারকে এখানে বলা হয় রোয়াদা ভিলান নামে। দস্তরখানে থাকে মাছ দিয়ে তৈরি কেক উলাহি বোয়াকিবা, ময়দা দিয়ে বানানো কেক ফনি বোয়াকিবা ও মাছের তৈরি ফিশ বল গুলহা।
ইফতারের পদগুলোর মধ্যে আছে ক্রিমি কোকোনাট, রাইস পুডিং, টুনা মাছের তৈরি আইটেম গারুদিয়া, বাকরখানির মত মাসর স্পাইসি আলু ও টুনা কাটলেট। এই অঞ্চলের খাবারে প্রাধান্য পায় সামুদ্রিক মাছ।
মালদ্বীপবাসীদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি খাবারের নাম ধারিদ। ভাত, খাসি অথবা গরুর মাংসের সাথে শুকনো রুটি সহকারে পরিবেশন করা হয় এই আরবীয় খাবার। কখনো থাকে চুলায় রান্না করা মসলাদার মাছ ও মাংসের টেরিং।
সেহরিতে মাছের টুকরো দিয়ে ভাঁপানো ভাত খান অনেকে। আবার কেউ কেউ খায় দই, চিনি, গম এবং শুকনো ফল দিয়ে সিরাপ। মালদ্বীপের প্রধান ফল নারকেল, তাই খাবারেও থাকে সেটার প্রভাব।
প্রাচীনকাল থেকে মালদ্বীপে মুসলমানদের মাঝে প্রচলিত আছে রাইভারু নামের রমজানের কবিতা আবৃত্তির সংস্কৃতি। ইফতারের পর সুর করে কিছু ধর্মীয় শ্লোক পড়েন মুসল্লিরা। রমজানের আগে এখানকার ঘরবাড়িতে নতুন রং করা মালদ্বীপের পুরনো ঐতিহ্য।
পর্যটন নির্ভর দেশ মালদ্বীপ, কিন্তু রমজানে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাওয়ার বিষয়ে আছে বিধিনিষেধ। তবে অমুসলিম পর্যটক কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষজন চাইলেই খেতে পারেন নিজেদের ঘরে কিংবা হোটেলে। প্রতিবছর একটু করে পানির নিচে ডুবছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ফলে একরকম অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই দেশের ভবিষ্যৎ। এর মাঝেই মাহে রমজানে সিয়াম সাধনায় মশগুল থেকে দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য কামনা করেন দেশটির ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=E1rH3QzfAOI
আবীর