
ছবি: সংগৃহীত
নবী রাসুল, সাহাবী ও ওলামায়ে কেরামদের জীবনী থেকে দেখা যায় তারা কখনোই ভেঙে পড়েননি। বরং বিপদাপদে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন ও কঠিন বিপদাপদ থেকে মুক্তির ৭ টি আমল হলো:
১. আল্লাহর যিকির:
ডিপ্রেশন দূর করবার জন্য এর চেয়ে কার্যকর কোনো দোয়া নেই। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আল্লাহর যিকিররের মাধ্যমে মানুষের অন্তর প্রশান্ত হয়ে যায়। অর্থ সহকারে, বুঝে কোরআন তিলাওয়াত হতে পারে এর অন্যতম পথ। এতে অন্তরের অশান্তি দূরীভূত হবে। যিকিরের আরেকটি উপায় হলো সকাল ও সন্ধ্যায় মহানবী (সা:) যেসব দোয়া পড়তেন সেগুলো পড়া।
২. মহানবী (সা:) এর বিশেষ যিকির:
আল্লাহ তাআলার একাত্মবাদ ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করার মাধ্যমে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব। যিকিরটি হলো:
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাববুল আরশিল আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাববুস সামা-ওয়া-তি অরাববুল আরদি অরাববুল আরশিল করীম।'
৩. আনাস (রা:) বলেন মহানবী (সা:) বিপদের সময় একটি দোয়া পড়তেন, দোয়াটি হলো:
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল হাম্মি অল হাযান অল আজযি অল কাসাল অল জুবনি অল বুখলি অ-দলায়িদ দাইনি অ গালাবাতির রিজাল।
৪. সালাত:
এটি আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। আবু দাউদ থেকে জানা যায়, মহানবী (সা:) যখনই বড় কোনো বিপদে পড়তেন তখনই সালাত আদায় করতেন। এর মাঝে অন্যতম হলো তাহাজ্জুদের সালাত: ভোররাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন উঠে ২ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করলে অনেক বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যা।
৫. ইস্তেগফার:
আবু দাউদের বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি ইস্তেগফারকে তার জন্য অবধারিত বলে ধরে নিয়েছে, আল্লাহ তাআলা তার সমস্ত অশান্তি ও দুশ্চিন্তা মুক্ত করে দিবেন।
৬. দরূদ পাঠ করা:
দরূদ পাঠের মাধ্যমে পেরেশানি, দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশন দূর হয়।
৭. সদকাহ: সাধ্যমতো দান সদকাহ করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন।
মায়মুনা