
ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল নামে। বিশেষ জামাতে অংশগ্রহণের পর ধর্মপ্রাণ মানুষ গভীর চোখের পানিতে মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন, ক্ষমা, রহমত এবং বরকত লাভের আশায়। নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা নিজেদের জন্য এবং সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
আজকের জুমার খুতবায় ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়। খুতবা শেষে জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল আসন সংখ্যার দ্বিগুণ, যা প্রমাণিত করে দেশব্যাপী রমজানের শেষ শুক্রবারে প্রার্থনা এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণের এক গভীর আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে দেশ, জাতি এবং পরিবারের কল্যাণ কামনা করেন। এক মুসল্লি বলেন, "আগামী বছর পাইমু না পাইমু গ্যারান্টি নাই, তাই আজকে এই জুম্মার সময় আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, সারা বাংলাদেশের মুসলমানদের হেফাজত করুন।" অন্য একজন বলেন, "দেশের সকল মানুষ সুখে শান্তিতে, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ যাতে একসাথে চলতে পারি, এই তৌফিক আল্লাহ আমাদেরকে দান করুন।"
আরেক মুসল্লি বলেন, "সকল কবরবাসীর জন্য দোয়া চাইলাম, আমরা দেশের সমৃদ্ধি, নিজের সমৃদ্ধি, গুনাহ থেকে মাফ, বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত, অসচ্ছলতা ইত্যাদি থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।"
মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুসল্লিরা নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। এক মুসল্লি বলেন, "ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করেছি, যেন আল্লাহ এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেন। এই ছোট ছোট বাচ্চারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আমরা মুসলমানরা মুসলিম হয়ে সারা বিশ্বে মুসলিম সংখ্যা বেশি। এই নির্যাতিত মুসলিম জাতির জন্য আল্লাহর রহমত হোক।"
মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা আগামি রমজান মাসে সিয়াম সাধনা পালনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন পরবর্তী বছর রমজান লাভের সুযোগ হয়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=LyW2nhVP3b4
আবীর