ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

যে কারনে গোটা বিশ্বের বাংলাদেশে সাথে ঈদ হয় না

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২৬ মার্চ ২০২৫

যে কারনে গোটা বিশ্বের বাংলাদেশে সাথে ঈদ হয় না

ছবি:সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের দিন নিয়ে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবছর একটি বড় আলোচনা হয়, বিশেষ করে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বিশ্বব্যাপী একযোগে ঈদ পালন করার বিষয়টি নিয়ে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদের তারিখ নির্ধারণের ঐতিহ্য প্রচলিত রয়েছে। ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনায় এসেছে, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা শুরু করবে এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙবে।” তাই, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

 

 

তবে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, সৌদি আরবের চাঁদ দেখার সংবাদের ভিত্তিতে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষও একযোগে ঈদ পালন করতে পারেন বলে কিছু আলেম যুক্তি প্রদান করেছেন। তারা বলেন, বিজ্ঞান এবং ইসলাম কখনোই সাংঘর্ষিক নয়, বরং বিজ্ঞান ইসলামের শিক্ষাকে আরো প্রমাণিত করে। ইসলামের যে শিক্ষা ১৫০০ বছর আগে আল্লাহর রাসূল দিয়েছেন, তা বর্তমান বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর সাথে মিলে যাচ্ছে।

 

 

অন্যদিকে, বাংলাদেশের কিছু আলেম এই মতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করেন, চাঁদ দেখার বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। ইসলামের মধ্যে চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাসের শুরু হওয়া এবং রোজা রাখা বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখবে এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙবে।”

বিশ্বব্যাপী একযোগে ঈদ পালনের জন্য আরো গবেষণা ও ঐক্যমত প্রয়োজন, কারণ বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য থাকার কারণে এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। তবে, বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, যদি সার্বজনীন একটি বর্ষপুঞ্জি গ্রহণ করা যায়, তাহলে এটি সমাধান হতে পারে। 

 

 

ঈদুল ফিতরের সময় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা শুরু করার প্রথা ইসলামের মূল শিক্ষা এবং এর সঠিক প্রয়োগই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আঁখি

×