
ছবি: সংগৃহীত।
আমরা যারা কর্মজীবী এবং নানা কারণে সারারাত জেগে এবাদত করার সুযোগ পাই না, তাদের জন্য আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিছু ছোট ছোট আমলের নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব আমল পালনের মাধ্যমে আমরা সারারাত এবাদত করার সওয়াব অর্জন করতে পারি। আজ আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল শেয়ার করব।
১. এশা ও ফজরের সালাত জামাতে আদায় করা
সহিহ মুসলিমের এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন— "যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবে, আল্লাহ তাকে অর্ধরাত জেগে এবাদত করার সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর উভয় সালাত জামাতে আদায় করবে, আল্লাহ তাকে সারারাত এবাদত করার সমান সওয়াব দান করবেন।"
২. ইমামের সঙ্গে এশা ও তারাবির সালাত সম্পূর্ণ আদায় করা
তিরমিজি ও আবু দাউদের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে— "যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে রাতের সালাত (এশা ও তারাবি) আদায় করে এবং ইমাম চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, আল্লাহ তাকে সারারাত জেগে এবাদত করার সমান সওয়াব দান করেন।"
৩. রাতের যেকোনো সময় ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করা
জামে তিরমিজির একটি হাদিসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাকে সারারাত এবাদতের সমান সওয়াব দান করেন।"
৪. এবাদতের নিয়তে ঘুমানো
যদি কেউ এবাদতের জন্য উঠতে চায় কিন্তু ঘুমের কারণে জাগতে না পারে, তবে তার এই সদিচ্ছার কারণেও আল্লাহ তাকে সারারাত এবাদতের সওয়াব দান করবেন। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার ঘুমকে সাদাকা বা উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।
৫. উত্তম আখলাক ও সৎ কাজ করা
সারা রাত এবাদত করার সওয়াব অর্জনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেমন—
- উত্তম আচরণ ও সুন্দর আখলাক
- ইয়াতিম ও বিধবাদের কল্যাণে কাজ করা
- জুমার দিনের সুন্নাহসমূহ পালন করা
- আল্লাহর রাস্তায় রাত্রিকালীন পাহারাদারী করা
প্রিয় পাঠক, এই ছোট ছোট আমলগুলোর মাধ্যমে আমরা রমাদানসহ সারা বছর সারারাত এবাদত করার সওয়াব অর্জন করতে পারি। তবে সারারাত জেগে এবাদত করা এবং এই শর্টকাট আমলের মাধ্যমে সওয়াব পাওয়ার মধ্যে আকাশ-জমিন পার্থক্য রয়েছে। তাই আমাদের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করা উচিত বেশি বেশি এবাদত করার।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহামূল্যবান আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন!
নুসরাত