
ছবি: সংগৃহীত।
প্রত্যেক মুসলমানেরই ইচ্ছা থাকে সুন্দর ও সম্মানজনক মৃত্যু লাভ করা। ইসলাম আমাদের কিছু নিদর্শন ও লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছে, যেগুলো জান্নাতি মৃত্যুর আলামত হিসেবে গণ্য করা হয়। হাদিসের আলোকে কিছু বিশেষ মৃত্যু শহীদের মর্যাদা লাভ করে এবং কবরের আজাব থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। আসুন, জান্নাতি মৃত্যুর ১২টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
১. মৃত্যুর সময় কালিমা পাঠ করতে পারা
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন।"
২. মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বের হওয়া
বুরাইদা বিন হাসিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন— "আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, মুমিন কপালে ঘাম নিয়ে মৃত্যুবরণ করে।"
৩. জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যুবরণ করা
যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যুবরণ করেন, আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেন।
৪. আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা
যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, সে শহীদ।
৫. প্লেগ রোগে মৃত্যুবরণ করা
প্লেগ রোগে মৃত্যু প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য শাহাদাতের মর্যাদা রাখে।
৬. যেকোনো পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণ করা
যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় মৃত্যুবরণ করবে, সে শহীদ।
৭. কোনো কিছু ধসে পড়ে বা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা
যে ব্যক্তি ভবন ধসে পড়ে বা পানিতে ডুবে মারা যায়, সে শহীদ।
৮. গর্ভবতী অবস্থায় নারীর মৃত্যু
যে নারী গর্ভে সন্তান রেখে মারা যায়, তিনি শহীদ।
৯. আগুনে পুড়ে বা যক্ষা রোগে মৃত্যু
যে ব্যক্তি আগুনে পুড়ে বা যক্ষা রোগে মারা যায়, সে শহীদের মর্যাদা পায়।
১০. নিজের ধর্ম, সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু
যে ব্যক্তি নিজের ধর্ম, সম্পদ বা জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সে শহীদ।
১১. আল্লাহর রাস্তায় প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন— "একদিন এক রাত পাহারা দেওয়া এক মাস দিনে রোজা রাখা এবং রাতে নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম। আর যদি পাহারারত অবস্থায় সে ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে তার জীবদ্দশায় যে আমলগুলো করতো, সেগুলোর সওয়াব চলমান থাকবে এবং সে শহীদ হবে।"
১২. নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা
যে ব্যক্তি নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, সে সৌভাগ্যবান।
নুসরাত