
ছবি: সংগৃহীত
নো ম্যানস ল্যান্ডে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদে আসতে হয় সীমান্তের কাঁটাতার অতিক্রম করে। মসজিদ থেকে বাইরে পা রাখলেই একপাশে ভারত, অন্যপাশে বাংলাদেশ সীমান্ত। নানা কিংবদন্তি ঘিরে থাকা এই মসজিদে নামাজ পড়েন দুই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
স্থানীয় বাংলাদেশিদের মতে, এই মসজিদের বিশেষত্ব হচ্ছে এটা বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তে অবস্থিত। পূর্বে এর নাম ছিল ভাঙ্গা মসজিদ, এখন নতুন নাম হয়েছে কেরামতিয়া মসজিদ। তবে অনেকে মসজিদটিকে বড় মসজিদ হিসেবেও জানে।
শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে কাঁটাতারের বাধা অতিক্রম বাংলাদেশ ও ভারতের মুসলিম নারী-পুরুষ উভয়েই এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য স্বীকারের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষ এই মসজদে এসে নানা মানতও করেন।
অপরূপ সৌন্দর্যের এই স্থাপত্য নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত। ইতিহাসবিদদের ধারণা, ১৩০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে এটি। আবার অনেকে বলছেন, প্রাচীনতম এই মসজিদটি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর শাসনামলে তৈরি। প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এক জামায়াতে আলাদা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করেন এখানে।
লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ৭০ কিমি পশ্চিমে হাতিবান্ধার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া এবং ভারতের কুচবিহারের শীতলকুচি সীমান্তে অবস্থিত কেরামতিয়া জামে মসজিদ। দেশভাগ হওয়ার কয়েক যুগ পরেও ঐতিহাসিক এই মসজিদে দুই দেশের মুসল্লিরা একত্রে নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার পরে বর্তমানে ভারতীয়রা এখানে কম আসেন।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=upqH-bGrDiM
রাকিব