
ছবি: সংগৃহীত
গত এক শতকে ইউরোপে ধর্মের প্রভাব দ্রুত কমে গেছে, তবে মুসলিম জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি এই প্রবণতাকে কিছুটা ধীর করেছে। ধর্ম একটি সংবেদনশীল বিষয়, যা সাধারণত ভদ্র সমাজে আলোচনা করা হয় না, তবে এটি কখনও কখনও অর্থনৈতিক সংকটের সময় মানুষের জন্য একটি স্বস্তির মাধ্যম হয়ে ওঠে। ধর্মের সামাজিক গুরুত্ব কমানোর এবং বাড়ানোর দুটি বিপরীত শক্তি কাজ করছে: একটি সংস্কৃতির ধর্মনিরপেক্ষকরণ, আরেকটি অভিবাসন এবং উচ্চ প্রজনন হার দ্বারা ধর্মের পুনর্নবীকরণ।
ইউরোপে ধর্মীয় সম্পৃক্ততার দ্রুত পতন হয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে। এলাইটনমেন্টের পর সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানত ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্র এবং চার্চ আলাদা, এবং শিক্ষা, বিজ্ঞান ও আইন তাদের নিজস্ব কর্তৃত্বে কাজ করছে। যদিও ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রতিষ্ঠানের শক্তি কমছে, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা সরাসরি জনপ্রিয় নয়, কারণ ধর্মকে মানুষের জীবনে একটি সীমিত পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
এছাড়া, ইউরোপে ধর্মীয় পরিবর্তনগুলি প্রধানত প্রজন্মের মধ্যে ঘটছে, এবং প্রতিটি প্রজন্ম আগের তুলনায় কম ধর্মীয় হয়ে উঠছে। তবে, মুসলিম অভিবাসন বৃদ্ধির কারণে ইসলাম ইউরোপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ইসলামের প্রভাব ভবিষ্যতে ইউরোপীয় সংস্কৃতি, সমাজ এবং রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
ইউরোপের ভবিষ্যত ধর্মীয় প্রবণতা, অভিবাসন এবং ইসলামের প্রভাব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন, তবে এটি স্পষ্ট যে ইউরোপের ধর্মীয় এবং সামাজিক কাঠামো আগামী দশকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে পারে।
সূত্র: https://engelsbergideas.com/essays/the-future-of-europe-secular-but-not-secularist-diverse-but-not-divided/
আবীর