
ছবি : সংগৃহীত
মুসলমানদের প্রথম কেবলা ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে ইসলামের ইতিহাস সমৃদ্ধ ফিলিস্তিনসহ বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান ও লেবানন ভূখণ্ডকে শামদেশ বলা হতো। এ শাম দেশ এবং বিশেষ করে বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকা সম্পর্কে মহানবীর বেশ কিছু ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে।
মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস ইসলাম এর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই মসজিদের আশেপাশে অনেক নবীদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। এই মসজিদে অনেক নবী ইমামতিও করেছেন। পবিত্র মেরাজের রাতে মহান আল্লাহ কুদরতিভাবে সব নবী রাসূলদের বায়তুল মুকাদ্দাসে একত্রিত করেন। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে দুই রাকাত নামাজের ইমামতি করেন।
মুগিরা ইবনে শোবা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার উম্মতের একদল সবসময় সত্যের উপর বিজয়ী থাকবে। এভাবে কেয়ামত এসে যাবে, আর তারা বিজয়ী থাকবে।’’
হাদিসের ভাষ্যমতে এ দলটি শাম দেশ অঞ্চলে অবস্থানকারী হবে। ফিলিস্তিন নিয়ে আরেকটি হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর বিজয়ী থাকবে। শত্রুর মনে পরাক্রমশালী থাকবে। দুর্ভিক্ষ ছাড়া কোন বিরোধী প্রতিপক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহর আদেশ তথা কেয়ামত পর্যন্ত তারা এমনই থাকবে।’’
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা কোথায় থাকবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা বায়তুল মাকদিস ও তার আশেপাশে থাকবে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই মসজিদুল আকসায় যেতে ও নামাজ আদায় করতে সাহাবীদের উৎসাহিত করেছেন। মায়মুনা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে বর্ণিত তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে কিছু বলুন।
নবীজি বলেন, ‘‘বাইতুল মাকদিস হলো হাশরের ময়দান, পুনরুত্থানের জায়গা। তোমরা তাতে গিয়ে নামাজ আদায় করো। কেননা তাতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে ১০০০ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সমান।’’
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সেখানে যাওয়ার শক্তি সামর্থ্য রাখে না, তার ব্যাপারে আপনার কি অভিমত। প্রিয় নবী বলেন, ‘‘সে যেন তার জন্য জ্বালানি তেল হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে।কেননা যে বায়তুল মাকদিসের জন্য হাদিয়া প্রেরণ করে, সে তাতে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির মত সওয়াব লাভ করবে।’’
মো. মহিউদ্দিন