
ছবিঃ সংগৃহীত
লাইলাতুল কদর হলো এক পবিত্র ও মহিমান্বিত রাত, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন, যা রহমত ও কল্যাণের অশেষ উৎস। আল্লাহ তাআলা এই রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন এবং পবিত্র কোরআনের সূরা আল-কদরে স্পষ্টভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দার নেক দোয়া কবুল করেন এবং অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এই রাত ভোর না হওয়া পর্যন্ত এক অপূর্ব শান্তি ও রহমতে ভরা থাকে। এজন্য মুসলমানদের কাছে এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি এই রাতে খাঁটি মনে ইবাদত করবে, সে হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব লাভ করবে। লাইলাতুল কদর পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করা।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন— প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে, সে দুটি ওমরা ও দুটি কবুল হজ আদায় করার সওয়াব পাবে।”
এ কারণে যারা ইতেকাফ করবে, তারা লাইলাতুল কদর লাভের পাশাপাশি অধিক সওয়াবের অধিকারী হবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।”
হাদিসের আলোকে লাইলাতুল কদরের কিছু বিশেষ আলামত উল্লেখ করা হয়েছে—
✅ রাতটি গভীর অন্ধকারে ঢাকা থাকবে না।
✅ আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ থাকবে এবং মৃদু বাতাস প্রবাহিত হবে।
✅ ইবাদতকারীরা এই রাতে অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করবে।
✅ কোনো কোনো মুমিনের কাছে স্বপ্নের মাধ্যমে রাতটি প্রকাশ পেতে পারে।
✅ সে রাতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
✅ সকালে সূর্য উঠবে সোনালি আভাযুক্ত ও কোমল আলোসহ, যা পূর্ণিমার চাঁদের মতো দেখাবে।
লাইলাতুল কদর এক অনন্য রহমতের রাত, যা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ রাতে বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই বরকতময় রাতের ফজিলত অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ইমরান