ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

রমজানের শেষ ১০ দিনে শবে কদর লাভের জন্য ইতেকাফ ও ইবাদতের গুরুত্ব

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২২ মার্চ ২০২৫

রমজানের শেষ ১০ দিনে শবে কদর লাভের জন্য ইতেকাফ ও ইবাদতের গুরুত্ব

ছবি: সংগৃহীত

চলতি রমজান মাসের দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হয়ে গেছে এবং আমরা এখন রমজানের শেষ সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। রমজানের এই শেষ ১০ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে শবে কদর, যা ১০০০ মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ রাত হিসেবে বিবেচিত। এ রাতের ফজিলত লাভের জন্য রোজাদাররা মসজিদে মসজিদে ইতেকাফ শুরু করবেন, যা রমজানের শেষ দশকের একটি সুন্নত আমল।

হাদিসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন, "রমজানের শেষ ১০ দিন তিনি ইতিকাফ করতেন," এবং কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, "নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি।" শবে কদর এমন এক রাত, যেখানে ফেরেশতারা ও রুহুল কুদস তাদের পালনকর্তার আদেশে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং রাতটি ফজর পর্যন্ত শান্তিতে ভরা থাকে।

রমজানের শেষ ১০ দিনকে ইতিকুম মিনান্নার, অর্থাৎ জান্নাত থেকে মুক্তির দশক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রাখার পাশাপাশি নফল ইবাদত এবং রাতের সময় জেগে নামাজ আদায় করতেন। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ ১০ দিনে এমনভাবে ইবাদত করতেন যা অন্য সময় তিনি করতেন না।"

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সময়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন, দুনিয়ার সকল সম্পর্ক থেকে মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করতেন। তিনি নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, আজগার, দান সাদকা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে করতেন, যাতে তিনি লাইলাতুল কদরের সন্ধানে সফল হতে পারেন।

শবে কদর এমন একটি রাত, যেখানে ঈমান ও সওয়াবের আশায় নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলা তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। এই রাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত ও বরকত লাভের সুযোগ রয়েছে, এবং আল্লাহ তাআলা সবাইকে রমজানের পূর্ণ বরকত হাসিলের তৌফিক দান করুন, এমনটাই প্রার্থনা।

আবীর

×