
ছবি: সংগৃহীত
লাইলাতুল কদর হলো সেই রাত যে রাতে আল্লাহ তা‘আলা পুরো কুরআন কারীমকে লাউহে মাহফুয থেকে প্রথম আসমানে নাযিল করেন।
তাছাড়া অন্য আরেকটি মত আছে যে, এ রাতেই কুরআন নাযিল শুরু হয়। পরবর্তী ২৩ বছরে বিভিন্ন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা ও অবস্থার প্রেক্ষিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র উপর অবতীর্ণ হয়।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর”। আরেক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘এ মাসে (রমজানে) এমন একটি রাত আছে, যা হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে সত্যিই বঞ্চিত হলো। ’
লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতই হতে পারে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'এ এক রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম'।
হাদিসে লাইলাতুল কদরের বেশ কিছু আলামত এসেছে। সেগুলো হলো:
১. রাত্রি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। কদরের রাতে আকাশ পরিস্কার থাকে। মেঘ বা ধূলিকণার উপস্থিতি কম থাকে। ফলে রাত হয় গভীর অন্ধকার থেকে মুক্ত।
২. রাতে গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না। হাদিসে এসেছে, লাইলাতুল কদরের রাতটি হবে প্রফুল্লময়, না গরম না ঠান্ডা। আলেমদের মতে, এই আবহাওয়া ইবাদতের জন্য বেশ উপযোগী। মুমিনদের জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত
৩. মৃদু বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে। এর ফলে পরিবেশ হবে স্নিগ্ধ, শান্তিময়।
৪. এই রাতে ইবাদত করে বান্দা বেশি তৃপ্তি অনুভব করবে। আলেমগণ বলেন, কদরের রাতে ইবাদতকারীরা বেশি তৃপ্তি ও প্রশান্তি অনুভব করেন। এটি তাদের হৃদয়ে মাধুর্য বৃদ্ধি করে।
৫. কোনো ইবাদতকারী বান্দাকে আল্লাহ তা' আলা স্বপ্নে দেখিয়ে দিতে পারে। কখনো কখনো নেকদার বান্দারা স্বপ্নে লাইলাতুল কদরের সম্পর্কে জানতে পারেন। এটি আল্লাহর বিশেষ রহমত যা তাদের ইবাদতে আরো উদ্দীপনা যোগায়।
৬. ঐ রাতে বৃষ্টি হতে পারে। কিছু হাদিসে এসেছে, লাইলাতুল কদরের রাতে বৃষ্টি হতে পারে যা আল্লাহ তাআলার রহমতের নিদর্শন।
৭. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। হাদিস বলছে, সে রাতের চাঁদের মতোই পরেরদিন সকালে সূর্য উঠবে তীব্র আলোকরশ্মি ছাড়া, ক্ষীণ আলো নিয়ে।
(সহীহ ইবনু খুজাইমাহ, বুখারী, মুসলিম)
মায়মুনা