
ছবিঃ সংগৃহীত
ফিতরা আদায় ইসলামিক শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা ঈদের আগেই গরিব ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করতে হয়। তবে অনেক প্রবাসী মুসলিমের মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন থাকে—ফিতরা কি যেখানে অবস্থান করা হয়, সেখানকার হিসেবে দিতে হবে, নাকি নিজ দেশের হিসাব অনুযায়ী আদায় করা যাবে?
এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে মূলত দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়:
১. যেখানে অবস্থান করা হয়, সেখানকার হিসাব অনুযায়ী ফিতরা আদায় করা উত্তম
শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ী ফিতরার নির্ধারণ হয় খাদ্যের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে। তাই একজন প্রবাসী যেখানে বসবাস করছেন, সেখানকার খাদ্যের দাম অনুযায়ী ফিতরা নির্ধারণ করাই উত্তম। কারণ, সেই দেশের দরিদ্রদের সহায়তা করাও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
২. নিজ দেশের হিসাব অনুযায়ীও ফিতরা আদায় করা বৈধ
যদি কেউ মনে করেন, তার নিজ দেশে আরও বেশি গরিব ও অসহায় মানুষ রয়েছেন এবং সেখানকার দারিদ্র্য অবস্থা বেশি, তাহলে নিজ দেশের ফিতরার হার অনুযায়ী অর্থ পাঠিয়ে সেখানে ফিতরা আদায় করা বৈধ। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহ মনে করিয়ে দেন, ফিতরা অবশ্যই ঈদের নামাজের আগে গরিবদের হাতে পৌঁছাতে হবে।
ফিতরা আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত সময় ফিতরা আদায়ের জন্য নির্ধারিত। যদি কেউ ঈদের নামাজের পর ফিতরা দেয়, তাহলে সেটি সাধারণ দানের অন্তর্ভুক্ত হবে, ফিতরা হিসেবে গণ্য হবে না।
ইমরান