
ছবিঃ সংগৃহীত
রমজানের শেষ দশ দিন হলো সবচেয়ে বরকতময় সময়। এ সময় ইবাদতের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়, কারণ এর মধ্যেই রয়েছে শবে কদর, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। তাই এই সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, অনেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল থেকে বঞ্চিত হন বা কিছু সাধারণ ভুল করে বসেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর বয়ানে এমন কিছু ভুলের কথা উল্লেখ করেছেন, যা আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত।
১. এতেকাফ না করা
রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করা হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী (সা.) এই ইবাদত খুব যত্ন সহকারে আদায় করতেন এবং আমাদেরও তা করতে উৎসাহিত করেছেন। অথচ আজকাল অনেক মসজিদে এতেকাফকারীর সংকট দেখা যায়, কখনো কখনো লোক ভাড়া করেও এতেকাফে বসানো হয়! এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।
২. পরিবারকে শেষ দশকে ইবাদতের জন্য না জাগানো
নবী (সা.) এই সময় তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও ইবাদতে উৎসাহিত করতেন এবং ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন। কিন্তু অনেক পরিবারই এই ব্যাপারে গাফিলতি করে। পুরো পরিবার একসঙ্গে ইবাদতে মনোনিবেশ করলে রমজানের শেষ দশক আরও অর্থবহ হবে।
৩. ইবাদতের পরিবর্তে কেনাকাটা ও ভ্রমণে ব্যস্ত হওয়া
রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শেষ দশ দিন, যেখানে শবে কদর পাওয়ার সুযোগ থাকে। অথচ অনেকে এই সময়টা বাজার করা, ঈদের প্রস্তুতি বা গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পেছনে ব্যস্ত করে ফেলেন। এতে মূল ইবাদতের সময় নষ্ট হয়ে যায়, যা বড় ভুল।
৪. সময়মতো ফিতরা আদায় না করা
ফিতরা আদায়ের নির্দিষ্ট সময় হলো চাঁদ দেখার পর থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে পর্যন্ত। কিন্তু অনেকেই তা দেরিতে দিয়ে থাকেন, যা ফিতরা আদায়ের শর্তের পরিপন্থী। যদি ঈদের নামাজের পর ফিতরা দেওয়া হয়, তবে তা ফিতরা হিসেবে গণ্য হবে না, বরং সাধারণ দান হিসেবে গণ্য হবে। তাই যথাসময়ে এটি আদায় করা জরুরি।
সফল রমজানের জন্য করণীয়
শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, এই ভুলগুলো সংশোধন করতে পারলে আমাদের রমজান আরও সুন্দর ও অর্থবহ হয়ে উঠবে। এটি আমাদের তাকওয়া অর্জন করতে সাহায্য করবে এবং সফল রমজান কাটানোর সুযোগ করে দেবে। তাই আসুন, আমরা এই বিষয়গুলোতে যত্নশীল হই এবং রমজানের শেষ দশককে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাই।
ইমরান