
ছবি: সংগৃহীত
রমজানে দীর্ঘসময় পানাহার থেকে বিরত থাকায় কমে যায় রক্ত দাতার সংখ্যা। ফলে ভোগান্তিতে থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা।
চিকিৎসক ও ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, রোজা রেখে বা ইফতারের পর রক্ত দিতে ধর্মীয় বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ কোনো বাধা নেই।
বিভিন্ন হাসপাতালে অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে রক্তের যোগান পাচ্ছে না। তাদের ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন রক্তদান কেন্দ্রেও। সেখানেও তারা পাচ্ছেন না রক্তদাতা।
রেড ক্রিসেন্ট ও সন্ধানীর হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রামে প্রায় এক লাখ ব্যাগ রক্ত লাগে। মাসে প্রায় ১০০০০ ব্যাগের মধ্যে চমেক ব্লাড ব্যাংক ও রেড ক্রিসেন্ট থেকে মেলে ৮০০০ ব্যাগ। রোজায় রক্তদানে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
ডাক্তার রা বলেন, রোজা রেখে রক্তদানে কোনো ঝুঁকি নেই, তবে কেউ যদি নিজেকে দুর্বল মনে করেন সেক্ষেত্রে না দেওয়া ই উত্তম।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও রোজা রেখে রক্তদানে কোনো বাধা নেই। ধর্ম তো মানবতার জন্য, ইসলাম মানবতার পক্ষে। কাজেই রোজা রেখে রক্তদান রোজা ভঙ্গের কারণ হবে এমন কোনো বিষয় নয়।
চমেক ব্লাড ব্যাংক, রেড ক্রিসেন্ট ও সন্ধানীসহ আরো বেশ কিছু সংস্থা রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
মায়মুনা