ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

রমজানে শুক্রবারের জুমার বিশেষ ফজিলত

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২১ মার্চ ২০২৫

রমজানে শুক্রবারের জুমার বিশেষ ফজিলত

ছবি: সংগৃহীত

 

রমজান মাস নিজেই অশেষ বরকত ও রহমতের মাস, আর এর মধ্যে শুক্রবার (জুমার দিন) হলে তা আরও বেশি ফজিলতপূর্ণ হয়ে যায়। ইসলাম ধর্মে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়, আর এই দিনের জুমার নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রমজানের সঙ্গে মিলিত হলে এটি দ্বিগুণ মর্যাদাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

জুমার দিনের বিশেষ মর্যাদা

হাদিসে এসেছে, শুক্রবার হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,
"সপ্তাহের সেরা দিন হলো শুক্রবার। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কেয়ামতও শুক্রবারেই সংঘটিত হবে।" (সহিহ মুসলিম)

রমজান মাস এমনিতেই গুনাহ মাফের মাস, তাই এই মাসের জুমার দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ।

রমজানের জুমার নামাজের বিশেষ ফজিলত

১. গুনাহ মাফের সুযোগ – হাদিসে বলা হয়েছে, জুমার দিনে সৎ আমল করলে তা এক সপ্তাহের গুনাহ মাফের কারণ হয়। রমজানের জুমা পালন করলে এই সওয়াব আরও বহুগুণে বেড়ে যায়।

২. দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত – শুক্রবার এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করে, তবে তা কবুল হয়। রমজানের জুমায় এই সুযোগ আরও বেশি পাওয়া যায়।

৩. ফরিশতাদের সাক্ষী হওয়া – হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সকাল থেকেই ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় বসে থাকেন এবং যারা আগে আসেন, তাদের নাম লিখে রাখেন। রমজানের জুমার দিন এটি আরও বেশি বরকত নিয়ে আসে।

৪. রহমত ও নাজাত লাভের সুযোগ – রমজান এমনিতেই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। যারা এই দিনে খুশু-খুজু সহকারে জুমার নামাজ আদায় করেন, তারা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করেন।

কীভাবে রমজানের জুমার ফজিলত পাওয়া যায়?

  • ফজরের পর কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির করা
  • জুমার নামাজের আগে উত্তমরূপে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা
  • প্রথম সারিতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করা
  • খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা
  • বেশি বেশি দোয়া করা ও দরুদ পাঠ করা

রমজানের জুমার দিন হলো এমন এক সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে গুনাহ মাফ, দোয়া কবুল ও জান্নাত লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কানন

×