
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসলামে স্বপ্নের ব্যাখ্যা ও এর গুরুত্ব বহু হাদিস ও কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে। ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান সম্প্রতি এক আলোচনায় বলেন, মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন সত্য হতে পারে এবং শেষ যুগে এটি আরও বেশি দেখা যেতে পারে। তবে, খারাপ স্বপ্ন দেখলে তা কাউকে না বলার নির্দেশনা রয়েছে।
কোরআনে কাফেরের স্বপ্ন সত্য হওয়ার প্রমাণ
তিনি কোরআনের সূরা ইউসুফের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে দুইজন অমুসলিম ব্যক্তির স্বপ্ন সত্য হয়েছিল।
একজন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে, তার মাথার ওপর রাখা রুটি পাখিরা খেয়ে ফেলছে। অন্যজন দেখেছিলেন যে, তিনি বাদশাকে শরাব (মদ) পান করাচ্ছেন।
হজরত ইউসুফ (আ.) স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন—
- যে ব্যক্তি বাদশাকে মদ পান করাচ্ছে, সে জেল থেকে মুক্তি পাবে।
- আর যার মাথা থেকে রুটি খাচ্ছে পাখি, সে ফাঁসিতে ঝুলবে।
পরবর্তীতে এই স্বপ্ন হুবহু সত্য হয়।
ভালো স্বপ্ন দেখলে করণীয়
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান বলেন, ভালো স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
খারাপ স্বপ্ন দেখলে করণীয়
- কাউকে বলা যাবে না
- দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে
- আল্লাহর কাছে দোয়া করে আশ্রয় চাইতে হবে
তিনি কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াত উল্লেখ করে বলেন— "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) হলো ইসলাম।"
আত্মসমর্পণের শিক্ষা: হজরত ইব্রাহিম (আ.)
তিনি আরও বলেন, ইসলামের মূল অর্থ আত্মসমর্পণ।
হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন আল্লাহর আদেশে তার স্ত্রী ও সন্তানকে জনমানবশূন্য মক্কায় কাবা ঘরের পাশে রেখে আসেন, তখন তিনি কোনো প্রশ্ন করেননি।
তিনি শুধু বলেছিলেন-"আসলামতু লি রাব্বিল আলামিন" (আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম)।
শেষ কথা
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান বলেন, মুমিনদের উচিত আল্লাহর হুকুম মেনে চলা এবং স্বপ্নের বিষয়ে ইসলামি নির্দেশনা অনুসরণ করা।
ইমরান