
ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যুর পর দুনিয়ার মানুষের কথা মনে পড়ে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মৃত্যু-পরবর্তী জগতকে বলা হয় ‘অদৃশ্যের জগত’। এই জগতে মানুষের অবস্থা কেমন হয়, তা সম্পর্কে আমরা কোরআন ও হাদিসের বর্ণনার বাইরে কিছুই বলতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, কোরআন ও হাদিসে কোথাও উল্লেখ নেই যে, মানুষ মৃত্যুর পর দুনিয়ার বিভিন্ন স্মৃতি স্মরণ করতে পারে বা তার কোনো কথা মনে পড়ে। বরং কোরআন ও হাদিস থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, তা থেকে বোঝা যায় যে, মৃত্যুর পরপরই মানুষের পরকালীন যাত্রা শুরু হয়ে যায়। তার জন্য কেয়ামতের প্রস্তুতি শুরু হয়, এবং সে নতুন এক জগতে প্রবেশ করে।
এই পরিস্থিতিতে মৃত ব্যক্তি দুনিয়ার স্মৃতি স্মরণ করবেন বা পেছনের ঘটনা নিয়ে ভাববেন—এমন কোনো ইঙ্গিত কোরআন ও হাদিসে পাওয়া যায় না। বরং বলা হয়েছে, মৃত্যু-পরবর্তী সময়ে মানুষ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
তবে জান্নাতবাসীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। তারা জান্নাতের নিয়ামত ভোগ করতে থাকেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত তাদের প্রধান কাজ হয় সেই নিয়ামত উপভোগ করা। যদিও তারা জীবিত মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন না, বরং বিশেষ ধরনের জীবন লাভ করেন, যা শুধুমাত্র জান্নাতের সুখ ভোগের জন্য নির্ধারিত।
অতএব, মৃত্যুর পর মানুষ দুনিয়ার কথা স্মরণ করেন, ভালো-মন্দ অনুভব করেন বা পেছনের স্মৃতিচারণ করেন—এমন কোনো প্রমাণ কোরআন ও হাদিসে পাওয়া যায় না বলে শায়খ আহমাদুল্লাহ উল্লেখ করেন।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=7Sfkd7ypW9c
সায়মা ইসলাম