ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

যেসব আমলে রোজা পূর্ণতা পায়

প্রকাশিত: ০২:৫৩, ১৮ মার্চ ২০২৫

যেসব আমলে রোজা পূর্ণতা পায়

ছবি সংগৃহীত

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস। শুধুমাত্র উপোস থাকা নয় বরং কিছু বিশেষ আমল রোজাকে পরিপূর্ণতা দিতে পারে। কোরআন ও হাদিসে এমন অনেক আমলের কথা বলা হয়েছে, যা রোজার ফজিলত বৃদ্ধি করে এবং আত্মশুদ্ধির পথ সুগম করে। রোজার পূর্ণতার জন্য করণীয় কিছু আমল-

নিয়ত ও খালিস ইবাদত:
প্রত্যেক ইবাদতের মতো রোজার ক্ষেত্রেও নিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজা শুধুমাত্র না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষুধা ও তৃষ্ণা সহ্য করাই মূল লক্ষ্য।

সঠিক সময়ে সেহরি খাওয়া:
হাদিসে এসেছে, সেহরি খাওয়ার মাঝে বরকত রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, “সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত আছে।” (বুখারি, মুসলিম)

ইফতারের সময় দোয়া করা ও তাড়াতাড়ি ইফতার করা:
রাসুল (সা.) দ্রুত ইফতার করার তাগিদ দিয়েছেন এবং বলেছেন, “মানুষ ততদিন কল্যাণের ওপর থাকবে, যতদিন তারা ইফতার করতে তাড়াহুড়া করবে।” (বুখারি, মুসলিম)

কোরআন তিলাওয়াত:
রমজান মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তারাবিহ নামাজ পড়া:
রমজানে তারাবিহ নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের প্রত্যাশায় রমজানে কিয়ামুল লাইল (তারাবিহ) আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (বুখারি, মুসলিম)

রোজা রেখে রাগ ও গিবত থেকে বিরত থাকা:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যদি কেউ তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাহলে তাকে বলবে ‘আমি রোজাদার।’” (বুখারি)

সাদকা ও দান-খয়রাত করা:
রমজান দানশীলতার মাস। রাসুল (সা.) নিজেও এই মাসে সবচেয়ে বেশি দান করতেন। দান-সাদকা গুনাহ মাফের বড় সুযোগ এনে দেয়।

লাইলাতুল কদরের ইবাদত:
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা উচিত। কোরআনে এসেছে, “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।” (সুরা কদর, আয়াত ৩)

আশিক

×