ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

পবিত্র রমজানের যে রাতে ফেরেশতারা নেমে আসে শান্তির বার্তা নিয়ে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৭ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজানের যে রাতে ফেরেশতারা নেমে আসে শান্তির বার্তা নিয়ে

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যেগুলো শুধু একটি ধর্ম বা জাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য অবিস্মরণীয়। তেমনই এক অনন্য রাত হলো লাইলাতুল কদর, যে রাতে নাযিল হয়েছিল আল-কুরআন—পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পথনির্দেশিকা। এই রাত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। কিন্তু কেন এই রাত এত তাৎপর্যপূর্ণ? কুরআন নাযিলের মাধ্যমে মানবসভ্যতা কী পেল? আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই পবিত্র রাতের মাহাত্ম্য ও এর তাৎপর্য।

লাইলাতুল কদর: বরকতময় এক রাত

লাইলাতুল কদর বা ‘শবে কদর’ হলো সেই মহিমান্বিত রাত, যেটি রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে একটি। কুরআনে এ রাতের গুরুত্ব নিয়ে আলাদা একটি সূরা নাযিল হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—

"নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আর তুমি কীভাবে বুঝবে লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।" (সূরা আল-কদর: ১-৩)

এই আয়াত থেকেই বোঝা যায়, এই রাতের ফজিলত কত বিশাল!

যে রাতে পৃথিবী পেল আলোর দিশা

হজরত মুহাম্মদ (সা.) যখন হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন, তখন জিবরাইল (আ.) তাঁর কাছে আসেন এবং প্রথম ওহি নিয়ে আসেন—

"পড়ো, তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।" (সূরা আল-আলাক: ১)

এই প্রথম ওহি দিয়েই শুরু হয় মানবজাতির সত্যের পথে পথচলা। কুরআন শুধু কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, বরং এটি হলো আলোকবর্তিকা, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেয়।

কেন এই রাত এত গুরুত্বপূর্ণ?

* হাজার মাসের চেয়েও উত্তম: এ রাতে ইবাদত করা হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব বয়ে আনে।
* ফেরেশতাদের অবতরণ: এই রাতে অসংখ্য ফেরেশতা দুনিয়ায় অবতরণ করেন এবং আল্লাহর রহমত ছড়িয়ে দেন।
* ক্ষমা ও দোয়ার রাত: যারা এই রাতে ইবাদত করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।

আমরা কীভাবে এই রাতের সর্বোচ্চ ফজিলত লাভ করতে পারি?

✔ ইবাদত ও দোয়া: বেশি বেশি নামাজ আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং দোয়া করা।
✔ ইস্তেগফার ও তওবা: নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
✔ দান-সদকা: গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা এবং দান-সদকা করা।

আসিফ

×