
ছবি: সংগৃহীত
যারা ভোর রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে, দাঁড়িয়ে যায় আল্লাহর প্রশংসা করার জন্য, সিজদায় লুটিয়ে যায় আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবার জন্য - তারা আল্লাহ তা’আলার প্রিয় বান্দা।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
'রমজানের পর রোযা রাখার উত্তম সময় মুহাররম মাস আর ফরজ নামাযের পর উত্তম নামাজ রাতের নামায, অর্থাৎ তাহাজ্জুদ'। (সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে হলে, নেকদার হতে হলে, আল্লাহর ওলি হতে হলে, ভাল মানুষ হতে হলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে।
দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বর্তমানৈ তাহাজ্জুদ তো দূরের কথা, অনেক প্র্যাকটিসিং মুসলিম ফজরের নামাজ পড়তে পারে না। এর কারণ হলো রাতে এবার নামাজের পরে আমরা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে ব্যস্ত থাকি।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পর কথা বলা পছন্দ করতেন না। দ্বিনের কথা, ইসলামের কথাও আগে আগে বলে শেষ করতে হবে। এবার পর শুয়ে পড়তে হবে। স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন ছাড়া আর কোনো কথোপকথন এসময় উচিত নয়। কিন্তু আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল জমেই এশার পরে। শুধু ওয়াজ মাহফিল ই নয় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, পারিবারিক আলোচনা এই সব জমে এশার পরে।
আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য তাহাজ্জুদের কোনো বিকল্প নেই। যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর সাথে তার একটি নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আল্লাহ তাআলা বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়ে যান ভোর রাতের সময়টাতে।
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
প্রতি রাত্রে শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের মর্যাদাবান বারাকাতপূর্ণ রব দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, 'যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার নিকট কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার নিকট মাফ চাইবে আমি তাকে মাফ করে দেব।’ (বুখারী, মুসলিম)
তাহাজ্জুদের নামাজের মাধ্যমে সারাদিন একটি পরিতৃপ্তি ও পবিত্রতা অনুভূত হবে যা অন্য কোনো ইবাদতের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
মায়মুনা