
ছবিঃ সংগৃহীত
রমজানে রোজা রাখার জন্য আমরা সাহরি খেতে উঠি, কিন্তু সাহরি খাওয়ার পর মুখে রোজার নিয়ত উচ্চারণ করা আবশ্যক মনে করেন অনেকেই। বিশেষ করে "নাওয়াইতুন আসুমা..." বা "মিন শাহরি রমাদান" নামক দোয়া পড়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অথচ কুরআন ও হাদিসে এই ধরনের কোনো নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার নির্দেশ নেই।
নিয়ত মূলত মনের একটি বিষয়, যা মুখে উচ্চারণের প্রয়োজন হয় না। রমজানের রোজার জন্য আপনি যদি সাহরি খেতে উঠেন, তাহলে সেটাই আপনার নিয়ত হিসেবে গণ্য হবে। মুখে নিয়ত করা জরুরি বা আবশ্যক মনে করা একটি ভুল ধারণা, যা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত আছে।
মুখে নিয়ত পড়া কি বিদআত?
শায়খ আহমাদুল্লাহ ব্যাখ্যা করেন যে, মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে করতে চান, তাহলে সমস্যা নেই। তবে এটাকে বাধ্যতামূলক মনে করলে তা বিদআতের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, কোনো ইবাদতে এমন কিছু সংযোজন করা যা রাসুল (সা.) এবং সাহাবারা করেননি, সেটাই বিদআত হিসেবে গণ্য হয়।
অনেক ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচিতে এই দোয়া লেখা থাকে, কিন্তু সেগুলোর পাশে কোনো হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ থাকে না। তাই যেকোনো ইবাদতের আগে কুরআন ও সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে যাচাই করা উচিত।
সঠিক নিয়ম কী?
রমজানের রোজার জন্য মুখে কোনো নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি সাহরি খেতে উঠেন এবং ইচ্ছা করেন যে আজ রোজা রাখবেন, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। মুখে উচ্চারণ ছাড়াই নিয়ত হয়ে যায়, কারণ নিয়ত মানে মনের উদ্দেশ্য।
ইমরান