
ছবি: সংগৃহীত
সূরা ইসরার ৮২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, 'আমি অবতীর্ণ করি কুরআন, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও করুণা, কিন্তু তা সীমালংঘনকারীদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।'
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় অনেকেই বলেছেন, এখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আত্মিক রোগ সমূহ থেকে আরোগ্য লাভের কথা বলেছেন। অর্থাৎ, কুরআনের প্রেসক্রিপশন অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত মানুষে পরিণত হয় এবং মানবীয় গুণাবলী অর্জন করে মানুষ আল্লাহ তাআলার প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়।
অনেকে আবার এর ব্যাখ্যা দাঁড় করান যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদের শারীরিক রোগমুক্তির পথও বাতলে দেন। সেগুলোকে আবিষ্কার করে, ব্যবহার করে উপকৃত হওয়াটাই আমাদের কাছে মূল বিষয়।
কুরআনের একটি সূরাই রয়েছে সূরাতুশ শিফা বা আরোগ্য লাভের সূরা।
সহীহ বুখারী শরীফে আবু সাইদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে বোঝা যায় সাহাবায়ে কেরাম রা সূরাতুল ফাতিহার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে মহানবী (সা:) বলেছিলেন, তুমি কীভাবে জানলে সূরা ফাতিহা সকল রোগ থেকে আরোগ্য এর একটি মাধ্যম?
এজন্য অনেক ওলামায়ে কেরাম রা বলেন থাকেন, সূরা ফাতিহার মাধ্যমে যেকোনো রোগ বালাই থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
এ বিষয়ে আব্দুল কাইয়্যুম (রা:) বলেন, আমি যখনই কোনো ব্যাথায় কাতর হয়েছি, এই সূরাটি পাঠ করে আমি সেই জায়গায় ফুঁ দিয়ে মুছেছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অলৌকিকভাবে আমাকে সুস্থতা দান করেছেন।
এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিশ্বাস। আল্লাহর কালামের উপর বিশ্বাস রাখার মাধ্যমেই এসব সূরা আমল করে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
মায়মুনা