
ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম ও ইহুদি প্রার্থনার মধ্যে তাদের আচার, ভঙ্গি ও গুরুত্বের দিক থেকে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা তাদের স্বতন্ত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
মুসলিমরা প্রতিদিন পাঁচবার কাবার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন, যেখানে ইহুদিরা দিনে তিনবার জেরুজালেম ও ওয়েস্টার্ন ওয়ালের (পশ্চিম দেয়াল) দিকে মুখ করে প্রার্থনা করেন।
মুসলিম নামাজ (সালাহ) বিভিন্ন ভঙ্গির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যেমন – দাঁড়ানো (আল-কিয়াম), রুকু, সিজদা এবং তাশাহহুদে বসা। অন্যদিকে, ইহুদি প্রার্থনায় থাকে দাঁড়ানো, নির্দিষ্ট সময়ে মাথা ঝোঁকানো, তাওরাত পড়ার সময় বসা, ইয়ম কিপ্পুরের সময় হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা এবং মনোযোগ বাড়ানোর জন্য দুলে দুলে প্রার্থনার একটি প্রচলন।
মুসলিমরা প্রার্থনার সময় আরবি ভাষায় কুরআনের নির্দিষ্ট আয়াত তেলাওয়াত করেন এবং সাধারণত নামাজের জন্য একটি জায়নামাজ ব্যবহার করেন। ইহুদিরা মূলত হিব্রু ভাষায় প্রার্থনা করেন এবং তাদের প্রার্থনার সময় প্রার্থনা-চাদর (তালিত) ও টেফিলিন (ধর্মীয় চিহ্নযুক্ত ছোট বাক্স) ব্যবহার করেন।
ইসলামে নামাজ মুসলিম বিশ্বাসের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমদের জন্য ফরজ, তবে শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা ও নির্দিষ্ট অবস্থায় (যেমন ঋতুস্রাব বা প্রসব পরবর্তী রক্তস্রাব) নামাজের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। ইহুদি ধর্মে প্রার্থনা ঈশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং আশীর্বাদ ও সফলতা কামনার মাধ্যম। দিনে তিনবার প্রার্থনা করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক।
তথ্যসূত্র: https://lessonislam.org/difference-between-jewish-and-muslim-prayer/
আবীর