
ছবি : জনকণ্ঠ
শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব। বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও খতীব। ইসলামের খেদমতে তিনি নানামুখী কাজ করেন। লেখালেখি, গবেষণা ও সভা-সেমিনারে লেকচারসহ নানামুখী দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং টিভি অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমে দীন। দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ— ছড়িয়ে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’।
ইয়াসমিন খাতুন অপি লিখেছেন, অনেকে বলে দাঁড়িয়ে পানি খেলে নাকি শয়তান, শয়তানের প্রসাব খাওয়া হয়, এটা কি হাদিস সম্মত?
জবাবে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, না ভাই, এটা হাদিস সম্মত কোন কথা নয়। আমরা অনেক মনগড়া কথাবার্তা বানিয়ে নিয়েছি। যেগুলো হয়তো মানুষকে সংশোধন করার উদ্দেশ্যে কেউ বানিয়েছেন। যেমন, দাঁড়িয়ে পেশাব, পানি খেলে, পানি করলে সেটা শয়তানের পেশাব খাওয়া হয়, নাউজুবিল্লাহ। তারপরে কেউ যদি শুয়ে শুয়ে বই পড়ে, তাহলে সেক্ষেত্রে ক্ষতি হয়, মুখটা তারপরে বই পড়ে যদি কেউ পৃষ্ঠা খুলে দেখে যায়, তাহলে শয়তান পড়ে ফেলে। এগুলো সব লোকমুখে প্রচলিত এবং বানোয়াট কথা, যেগুলোর কোন ভিত্তি কোথাও নেই। এগুলো যারা বানিয়েছেন, হয়তোবা তারা এজন্য বানিয়েছেন যে, ধরুন দাঁড়িয়ে পেশাব, পানি খাওয়া তো আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না, গলা আটকে যেতে পারে।
আর শরীরের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো জিনিস না। তো এই খারাপ কাজটা যাতে কেউ না করে, সেজন্য একটু শক্ত করে একটা বানোয়াট কথা দিয়ে তাকে ভয় দেখায় দিলেন। তো এ ধরনের বিষয়গুলো সৎ উদ্দেশ্য করা হলেও অনুচিত এবং নাজায়েজ।
কারণ কুরআনে ‘আমার নামে যে মিথ্যা কথা বলবে, মিথ্যা কথা রটাবে, সে যেন তার ঠিকানাকে জাহান্নামে জেনে রাখে।’
সুতরাং এ ধরনের কথা বলা, এটা নাজায়েজ এবং গুনাহের কথা।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=6CX02NAnPIE
মো. মহিউদ্দিন