ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

রোযা রেখে নামাজ না পড়লে কি রোযা হবে?

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ১৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৭:০৬, ১৩ মার্চ ২০২৫

রোযা রেখে নামাজ না পড়লে কি রোযা হবে?

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে নামাজ ও রোযা দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। একদিকে, রোযা আমাদের আত্মসংযম ও তাকওয়া অর্জনে সহায়তা করে, অন্যদিকে নামাজ মুসলমানদের দৈনিক ইবাদতের প্রধান মাধ্যম। তবে কিছু মুসলমানদের মাঝে এমন একটি প্রশ্ন উঠে থাকে যে, রোযা রাখার সময় নামাজ না পড়া কি জায়েয?

নামাজের গুরুত্ব

ইসলাম ধর্মে নামাজ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, "নামাজে কায়েম হও, যেহেতু এটি মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয়েছে" (সুরা বাকারা ২:১১০)। একইভাবে, হাদীসে এসেছে যে, "যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয়, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।" (আহমদ)।

রোযা ও নামাজের সম্পর্ক

রোযা রাখা নিজে একটি বড় ইবাদত হলেও, তা নামাজের গুরুত্বকে কমিয়ে দেয় না। বরং, রোযা সঠিকভাবে পালন করতে হলে আমাদের অন্যান্য ফরজ ইবাদতগুলোও যথাযথভাবে পালন করা উচিত। রোযা রাখার সময় নামাজ না পড়া ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থী এবং এটি আল্লাহর কাছে অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে।

রোযা রাখা এবং নামাজ না পড়ার বিষয়টি

কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে, রোযা রাখা যথেষ্ট এবং নামাজের উপর কোনো জোর দেওয়া প্রয়োজন নয়। তবে এটি ভুল ধারণা। রোযা রাখার সময় নামাজ না পড়া সঠিক নয়, কারণ নামাজ আল্লাহর কাছে আমাদের ফরজ দুআ এবং রোযার সাথে এর সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গী। রোযা আমাদের আত্মশুদ্ধির পথে পরিচালিত করে, কিন্তু নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করি।

রোযা ঠিকভাবে পালনের শর্ত

রোযা রেখে নামাজ না পড়ার কারণে রোযার কোনো অস্পষ্টতা সৃষ্টি হবে না, তবে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ ছাড়া রোযার পূর্ণতা প্রাপ্তি অসম্ভব। একজন মুসলমানের জন্য রোযা এবং নামাজ দুইটি একে অপরের পরিপূরক। রোযা রাখার পর নামাজ না পড়া আত্মিক ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং এটি ব্যক্তির ঈমানের দুর্বলতার পরিচায়ক হতে পারে।

অতএব, রোযা রাখা ইসলামে একান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নামাজও ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ। রোযা রেখে নামাজ না পড়া শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। আমাদের উচিত রোযা রাখার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে নিয়মিত নামাজ পড়া।

আসিফ

×