
ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম মানবজাতিকে পারস্পরিক সম্মান, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার শিক্ষা দেয়। তবে কেউ যদি অন্যকে অপমান বা অসম্মান করে, ইসলামে তার জন্য কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কাউকে অপমান করা, ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা বা খারাপ নামে ডাকা গুরুতর অপরাধ।
কুরআন ও হাদিসের সতর্কবার্তা
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অপর কোনো সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা (অপমানিতরা) তাদের চেয়ে উত্তম।” (সুরা আল-হুজুরাত: ১১)। কারো সম্মানহানি করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
অসম্মান করার শাস্তি
দুনিয়ায় অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা
ইসলামের দৃষ্টিতে, যে ব্যক্তি অন্যকে অপমান করে, আল্লাহ দুনিয়াতেই তাকে লাঞ্ছিত করেন। মানুষ তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং তার সম্মান নষ্ট হয়ে যায়।
আখিরাতে কঠিন শাস্তি
রাসুল (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি তার ভাইকে অপমান করবে, কিয়ামতের দিন সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।" (তিরমিজি)
ইসলাম মতে, যারা অন্যকে কষ্ট দেয়, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, “কেউ যদি অন্যকে অপমান করে, কিয়ামতের দিন তাকে তার অপমানের প্রতিদান দিতে হবে।”
গুনাহের বোঝা বৃদ্ধি
ইসলামে কারো সম্মানহানি করা গিবত ও অপবাদ রটনার মতো গুনাহের শামিল। এসব কাজ ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
অপরকে অসম্মান করা শুধু দুনিয়ার নয়, আখিরাতের জন্যও ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তাই ইসলামের নির্দেশনা মেনে চলা এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিলা ইসলাম