
ছবি: সংগৃহীত
রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খাওয়া ও পান না করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীর ও মনে কিছুটা প্রভাব পড়ে। অনেকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে অল্পতেই রেগে যান বা মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
কিন্তু ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, রোজা শুধু খাবার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং রাগ নিয়ন্ত্রণ করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "রোজা ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যদি রোজা রাখে, তবে সে যেন অশ্লীল কথা না বলে ও চিৎকার-চেঁচামেচি না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় বা ঝগড়া করতে আসে, সে যেন বলে—আমি রোজাদার।" (সহিহ বুখারি: ১৮৯৪)
রোজা অবস্থায় মেজাজ ঠান্ডা রাখার উপায়
রাগের সময় তাসবিহ পড়ুন
রোজা অবস্থায় রাগ অনুভব করলে "লা-হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ" পড়ুন। এটি মনে শান্তি আনবে।
মুখ ও জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখুন
গালি দেওয়া, উচ্চস্বরে কথা বলা বা কারও সঙ্গে রূঢ় আচরণ করা রোজার বরকত নষ্ট করতে পারে। তাই সংযম বজায় রাখুন।
বেশি বেশি ইবাদত করুন
যখন মেজাজ খারাপ হবে, তখন অযথা কথা না বলে কুরআন তেলাওয়াত করুন, দোয়া করুন। এতে মনে প্রশান্তি আসবে।
পানি বা ফলমূল দিয়ে ইফতার করুন
সারাদিন না খাওয়ার পর ভারী খাবার দিয়ে ইফতার করলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা মেজাজ খারাপের কারণ হতে পারে। তাই হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
ঘুম ও বিশ্রাম ঠিক রাখুন
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানুষ সহজেই রেগে যায়। তাই সেহরির পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন ও রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
নিজেকে মনে করিয়ে দিন—রোজা ধৈর্যের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন, তাই ধৈর্য ধরে উত্তীর্ণ হতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম কম করুন
গরমের মধ্যে বেশি পরিশ্রম করলে শরীরে ক্লান্তি আসবে, যা মেজাজ খারাপের কারণ হতে পারে। তাই কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
রোজা শুধু উপবাস থাকার নাম নয়, বরং এটি আত্মসংযম ও ধৈর্যের পরীক্ষাও। তাই মেজাজ ঠান্ডা রাখা এবং সংযম বজায় রাখা রোজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামের শিক্ষার আলোকে ধৈর্য ও নম্রতা চর্চা করলে রোজার পূর্ণতা লাভ করা সম্ভব হবে।
শিলা ইসলাম