
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে পাপ ও গুনাহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে—ছোট গুনাহ ও বড় গুনাহ। কুরআন ও হাদিসে এমন কিছু গুনাহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোকে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলা হয়। এসব পাপ মানুষের দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।
আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা
ইসলামে সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো শিরক, অর্থাৎ আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে অংশীদার করা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সঙ্গে শিরক করে। তবে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, যদি সে অন্য কোনো পাপ করে।" (সুরা আন-নিসা: ৪৮)
শিরকের মধ্যে পড়ে—মূর্তিপূজা, তাবিজ-কবচে বিশ্বাস, অন্যকে আল্লাহর সমান মনে করা ইত্যাদি।
হত্যা করা
নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা ইসলামে গুরুতর অপরাধ। আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল—অন্য কারও প্রাণের বিনিময়ে বা জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি ছাড়া—তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল।" (সুরা আল-মায়েদা: ৩২)
জাদু-টোনা করা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি জাদু করে বা করায়, সে আমাদের মধ্যে নেই।" (সুনানে বাইহাকি)
জাদু মানুষের ক্ষতি করে এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করার সামিল।
মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া
মিথ্যা সাক্ষ্য সমাজে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়। রাসুল (সা.) বলেন, "তোমরা মিথ্যা কথা ও মিথ্যা সাক্ষ্য থেকে দূরে থাকো।" (সহিহ বুখারি)
সুদ গ্রহণ ও প্রদান
ইসলামে সুদ নেওয়া ও দেওয়া উভয়ই হারাম। "যারা সুদ খায়, তারা সেই ব্যক্তির মতো, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে।" (সুরা আল-বাকারা: ২৭৫)
অন্যের সম্পদ জোর করে আত্মসাৎ করা
রাসুল (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারও জমি দখল করল, কেয়ামতের দিন সে সাত তলা জমিন পর্যন্ত ধসে যাবে।" (সহিহ বুখারি)
পরনিন্দা ও গিবত করা
"তোমরা একে অপরের গিবত করো না। এটা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মতো জঘন্য।" (সুরা আল-হুজরাত: ১২)
ব্যভিচার করা
"তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না, এটি অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ।" (সুরা আল-ইসরা: ৩২)
এসব বড় গুনাহ থেকে বিরত থাকা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যদি কেউ ভুলবশত এসব গুনাহ করে ফেলে, তাহলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার সংকল্প করতে হবে।
শিলা ইসলাম