
ছবি: সংগৃহীত।
ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী রমজান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, রমজান মাসে রোজা রাখার পরেও যাদের কোন লাভ হয় না বা যাদের রোজা পূর্ণ হয় না, তাদের প্রতি সতর্কতা প্রদানের জন্য কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন।
প্রথমে, তিনি ইফতার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, রোজা ভাঙার সময় কখনোই বিলম্ব করবেন না। ইহুদিরা যেমন দেরি করে ইফতার করে, তেমনি আমাদের জন্য তা নিষিদ্ধ। তিনি আরো বলেন, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, “যত তাড়াতাড়ি এই উম্মত ইফতার করবে, তাদের কল্যাণ কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
দ্বিতীয়ত, রমজান মাসে পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে। কোন ধরনের তর্ক-বিতর্ক, অশ্লীলতা, বা ঝগড়া করা উচিত নয়, সরাসরি বা সোশ্যাল মিডিয়াতেও নয়। যদি কেউ গালি দেয়, তাহলে বলুন, “আমি রোজাদার, আল্লাহর হাবিব শিখিয়েছেন, আপনি যদি গালি দেন, আমি তার প্রতিদান দেব না।”
তৃতীয়ত, মিথ্যা কথা, মিথ্যা কাজ বা মিথ্যা সাক্ষী প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। মিথ্যার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।
চতুর্থত, তিনি অপচয় এবং অপব্যয় থেকে দূরে থাকার কথা বলেছেন। অনেক সময় ইফতারিতে অপচয় হয়ে থাকে, যা শয়তানের ভাইয়ের কাজ।
পঞ্চমত, তিনি রিয়া বা লোক দেখানো এবাদত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নামাজ, রোজা, জিকির, তেলাওয়াত বা দান-সদকা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে।
ছয় নম্বরে, ব্যবসায়ী ভাইদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রমজানে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বা মজুদারি করা হারাম। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রোজাদারদের কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।
সর্বশেষ, তিনি বলেছেন, রমজানে আমাদের নফসের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের প্রবৃত্তি (নফস) সারা বছর আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু রমজান মাসে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করি। রমজান হচ্ছে সেই মাস, যখন আমরা নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক প্রশিক্ষণ দিয়ে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বাড়াতে পারি।
এছাড়া, তিনি রমজানের বিশেষ ফজিলত এবং সওয়াবের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, রমজানে এক নফল কাজ করলে ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এবং রমজানে ওমরা করলে হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
রমজান শুধুমাত্র একটি মাস নয়, এটি আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনার একটি সুযোগ। এটা আশার এবং সতর্কতার মাস।
নুসরাত