
ছবি: সংগৃহীত
মুহাররম মাস নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার ও ভুল ধারণার একটি হলো, মুহাররম মাসে বিয়েশাদী করা যাবেনা। এ ধরণের কোনো কথা কুরআন বা হাদিসের কোথাও পাওয়া যায় না।
মূলত, মুহাররম মাস সম্মানিত মাসগুলোর একটি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বছরের ১২ টি মাসের মধ্যে যে ৪ টি মাসকে সম্মানিত করেছেন তার একটি হলো মুহাররম মাস।
সম্মানিত মাস হিসেবে এই মাসে অন্য যেকোনো ভালো কাজ আমাদের বেশি করা উচিত।
বিবাহ শাদী করাও একটি ভালো কাজ। যার কারণে এটি এই মাসে করা যেতেই পারে। যে ভুল বিশ্বাস থেকে আমাদের সমাজে এই কুসংস্কারটি প্রচলিত আছে তা হলো: মনে করা হয় মুহাররম মাস একটি অপয়া মাস। এ সময়টি খুব খারাপ সময়। যার কারণে এই সময়ে বিবাহ শাদী করা উচিত নয়। বা এটা শোকের মাস, শোকের মাসে বিয়েশাদী করা উচিত নয়। সে ধারণাটিও সঠিক নয়।
এর কারণ হলো, মুহাররম মাসে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় দৌহিত্র হোসাইন (রা:)র শাহাদাতের কারণে এই মাসটি অপয়া হয়ে যায় নি। কারণ ইসলামের দৃষ্টিতে সময় কখনো অপয়া হয়না, কোনো সময় মন্দ বা ভালো হতে পারে না। বরং, সকল সময়ের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
যার কারণে মুহাররম মাসকে অপয়া বলার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া, এই মাসেই আল্লাহ তায়ালা মূসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিজয়ী করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর ভিত্তি করে আমাদের সিয়াম সাধনা করতে বলেছেন। তাঁর বিজয়, বনী ইসরাইলের মুক্তির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য শুকরিয়া আদায় করেছেন এই মাসে।
সুতরাং, এই মাসকে অপয়া বলা সম্পুর্ণ ভুল একটি বিশ্বাস।
আমাদেরকে এই ভুল বিশ্বাস থেকে সরে আসতে হবে। অন্য সময়ে যেমন বিয়েশাদী ব্যাপারে কোনো নিষেধ নেই, মুহাররম বা বছরের অন্য কোনো মাসে ইসলামী শরীয়তে বিয়েশাদী বিষয়ে কোনো প্রকার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
মায়মুনা