
ছবি: সংগৃহীত
রমজানের একমাসের রোজা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর উপর ফরজ। তাছাড়াও, সারাবছর আমরা সুন্নত ও নফল রোজার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। এরকম সাতটি রোজা হলো:
১. আইয়ামে বীজের রোজা: চন্দ্র মাসের ১৩,১৪, ১৫ কোনো ব্যক্তি রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা তাকে নিরাপদ রাখেন। কোনো ব্লাক ম্যাজিক বা ক্ষতির সম্মুখীন তিনি হননা। এটিকে বলা হয় আইয়ামে বীজের রোজা। এর অর্থ হলো 'আলোকিত রাত'। এইদিনে রাতে চাঁদের আলো অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি থাকে। তাই এর এই নামকরণ। সহীহ হাদিস অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে ৩টা করে রোজা পালন করলে সারা বছর নফল রোজা পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা:) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা পালন, সারা বছর ধরে রোজা পালনের সমান’। (বুখারি শরীফ)
২. সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার: প্রিয়নবি (সা:) প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এই দুই দিন রোজা রাখার ফজিলত প্রথমত হলো, প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার দিন নফল রোযা রাখা সুন্নত ও মুস্তাহাব। কারণ, তা ছিল মহানবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আমল। আর এই দুই দিন আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার আমল পেশ করা হয়। মা আয়ি’শাহ (রা:) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা:) সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিন রোযা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (তিরমিযী : ১০২৭)।
৩. আশুরার রোজা: মুহাররমের ১০ তারিখ, তার সাথে ৯ বা ১১ যোগ করে রাখবেন। অর্থাৎ ১০ কমন রেখে যেকোনো দুইটা রোজা রাখা। ৯, ১০ রাখতে পারলে বেশি উত্তম।
৪. আরাফার দিনের রোজা: জিলহজের ৯ তারিখ। এই দিনের রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার পেছনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন এবং এক বছরের অগ্রীম গুনাহ মাফ করে দেন।
৫. সাবান মাসের রোজা: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন সেটি হলো সাবান মাস। অর্থাৎ , রমজানের আগের মাস। এই মাসে আমরা বেশি বেশি নফল রোজা রাখব।
৬. মুহাররম মাসের নফল রোজা: এই মাসে আমরা বেশি বেশি নফল রোজা রাখব।
৭. শাওয়াল মাসের সুন্নত রোজা: শাওয়াল মাসে ৬ টি রোজা রাখা সুন্নত।
মায়মুনা