ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের প্রতি আমাদের করণীয়

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৫, ১১ মার্চ ২০২৫

দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের প্রতি আমাদের করণীয়

ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা জাকির হোসাইন

ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা জাকির হোসাইন বলেন, রহমত, বরকত ও নাযাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে উপস্থিত। মোমিন জীবনের এটি হচ্ছে বসন্তকাল ও আমলের এক মহামূল্যবান মৌসুম।

এই সময় আমরা যে আমলগুলো করব সেগুলোর মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবেন। এর মধ্যে অন্যতম আমল হচ্ছে আমরা দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের পাশে দাঁড়াবো, তাদের যতরকম সাহায্য সহযোগীতা দরকার আমরা তা করব।

মহান রাব্বুল আল আমিন পবিত্র কোরআনে বলেছেন, আমি কি আপনাকে এতিম অবস্থায় পায়নি? আমি কি আপনাকে আশ্রয় দেই নাই? মহান আল্লাহ  বলেছেন, অতএব আপনি এতিমদেরকে ধমক দিবেন না। তাদের সাথে শুধু ধমকের সুরে কথা বলাই না। দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের পাশে দাঁড়ানো কত বড় ফজিলতের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, তোমরা তাদের দান কর। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য যদি জাহান্নামের আগুন থেকে এক টুকরা খেজুর দিয়েও হয়।

আম্মাজান আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন তার কাছে একজন ভিক্ষক মহিলা আগমন করলেন। তার সাথে ছিল দুটি কন্যা সন্তান। আম্মাজান আয়েশা (রা.) কাছে সাহায্য চাইলেন। তখন তিনি তার ঘরের সমস্ত জায়গা তন্ন তন্ন করে একটা মাত্র খেজুর পেলেন। সেটি তিনি সেই অসহায় মহিলাকে দিলেন। সেই মহিলা তার সন্তানকে খেজুরটি দুই টুকরা সমান ভাগে ভাগ করে দিলেন।

পবিত্র মাহে রমজানে দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের পাশে দাঁড়ানোর অবারিত সুযোগ আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো যাকাত, ফেতরা, দান, সদকা ও সাধারণ দান। করতে পারি। একই ভাবে তাদের বিপদ আপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।


বিশ্ব নবী (সা.) একটা হাদিস আছে যে. ঈদের দিন যখন সবাই আনন্দ ফুর্তি করতেছিল তখন একটা ছেলে রাস্তার পাশে গিয়ে কানতেছিল। নবী করিম (সা. লক্ষ্য করলেন এবং তার কাছে গেলেন এবং সেই ছেলেটিতে তিনি বললেন আমি যদি তোমার বাবা হই আর আমার স্ত্রী যদি তোমার মা হয়। তখন ছেলেটি খুশি হলেন এবং আনন্দে হাসতে থাকলেন।

শহীদ

×