
যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যে বিএনপি সভাপতি হাসিবুল হাসান হাবিব বলেছেন, যে ফ্যাসিবাদী হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ে থেকে পালিয়েছেন আমি হেলিকপ্টারে চড়ে জন্মভূমিতে ফেরত এসেছি। সোমবার ফরিদপুরের সালথার নিজ বাড়িতে এসে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নির্যাতনে ও ভয়ে গত দেড়যুগ আগে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে (আমেরিকা) পাড়ি জমান এই বিএনপি নেতা হাসিবুল হাসান হাবিব। এরমধ্যে গত ১০ বছর আগে এলাকায় আসলেও কিছুদিনের মধ্যেই বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়েছে। এরপর গত ০৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর পর আনন্দঘন পরিবেশে হেলিকপ্টারে নিজ জন্মভূমির মাটিতে পৌছেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া ফুটবল মাঠে অবতরণ করেন বিএনপি নেতা হাসিবুল হাসান হাবিব। তিনি ওই ইউনিয়নের গৌড়দিয়ার পাশ্ববর্তী সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও বিএনপির আহ্বায়ক।
হেলিকপ্টারে করে তাঁর আসার খবরে দুপুর থেকে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ জমায়েত হোন সেখানে। অধীর আগ্রহে বসে থাকতে দেখা যায় সকলকে। এক পর্যায়ে ৩টা ১৩ মিনিটে অবতরণ করে হেলিকপ্টারটি। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। পরে প্রায় এক কিলোমিটার পথে পায়ে হেটেই মিছিলের সাথে নিজ বাড়িতে পৌছান বিএনপির এই নেতা।
দীর্ঘদিন পর দেশের মাটিতে পা রাখার পর এই বিএনপি নেতা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এই স্বৈরাচারী ডাইনী হাসিনার কবলে আমরা অনেকেই নির্যাতিত। এই ইন্ডিয়ান তাবেদারী আমাদের নিঃষ্পেষিত করে রেখেছিল। আমরা সেই বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এই শেখ হাসিনা না পালালে আমার প্রিয় জন্মভূমিতে আসা সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে আমরা দিনের বেলাতেই হেলিকপ্টারে করে আমার মাতৃভূমিতে পা রেখেছি। আমি অনেক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার অনেক জমি দখল করে নিয়ে গেছে।
হাসিবুল হাসান হাবিব উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমি কারও প্রতিদ্বন্ধি হতে আসি নাই। কারন, আমি কোনোদিন নির্বাচন করব না। কিন্তু রাজনীতি আর নির্বাচন এক নয়। আমি সকলের পাশে থাকতে চাই এবং দলকে সুসংগঠিত করতে চাই।
এদিকে তাঁর আগমণ উপলক্ষে একাধিক তোড়ন তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ফেস্টুন লাগিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। এছাড়া সন্ধ্যায় তাঁর বাড়ির আঙিনায় ‘বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্ত ও সুস্থ্যতা কামনায়’ আয়োজন করা হয়েছে ইফতার মাহফিলের। প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আফরোজা