
ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম অনুযায়ী, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও মানসিকভাবে স্থিতিশীল মুমিনের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। তবে কিছু বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখানে এমন ৫টি কারণে রোজা না রাখার অবকাশ তুলে ধরা হলো:
অসুস্থতা: অসুস্থ ব্যক্তি যদি রোজা রাখার কারণে শারীরিক ক্ষতির বা কষ্টের সম্মুখীন হন অথবা সুস্থ হতে বিলম্বিত হয়, তবে তার জন্য রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে।
বার্ধক্য: অত্যন্ত বৃদ্ধ ব্যক্তির যদি শারীরিকভাবে রোজা রাখার সক্ষমতা না থাকে, তবে তাঁদের জন্য রোজা না রাখার অবকাশ রয়েছে। যদি এমন হয় যে, সেই ব্যক্তি বছরজুড়ে কোনো সময় রোজা রাখতে পারবেন না, তাহলে তিনি ফিদইয়া (কষ্টসহিষ্ণুতা) আদায় করবেন।
বিপদ: অনিবার্য বিপদের পরিস্থিতিতে, যেমন পানিতে ডুবে যাওয়া বা আগুনে পুড়ে যাওয়া, চিকিৎসার জন্য রোজা ভাঙতে হতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তির পরে রোজা কাজা করতে হবে।
গর্ভধারণ ও স্তন্যদান: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলা যদি নিজে অথবা তাঁর সন্তানের ক্ষতির শঙ্কা অনুভব করেন, তবে তার জন্য রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে।
ভ্রমণ: ভ্রমণরত ব্যক্তির জন্যও রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে, তবে শর্ত হলো, তাকে ইসলামের দৃষ্টিতে মুসাফির (যাত্রী) হতে হবে। মুসাফির ব্যক্তি যদি রোজা ভাঙেন, তবে তাঁকে পরবর্তীতে সেই রোজা কাজা করতে হবে।
এছাড়া, ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব চলাকালীন নারীদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ। এই সময় রোজা রাখলে হবে না, পরে তাদের সেই রোজা কাজা করতে হবে।
শিহাব