
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে মিথ্যা বলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এটি একটি বড় গুনাহ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে এবং এর শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মিথ্যার শাস্তি কুরআনের দৃষ্টিতে
পবিত্র কুরআনে মিথ্যাকে পাপ ও মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ মিথ্যাবাদীদের পছন্দ করেন না: "নিশ্চয়ই আল্লাহ মিথ্যাবাদীদের পছন্দ করেন না" (সূরা আলে ইমরান: ৬১)।
মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য: "যারা মিথ্যা তৈরি করে, তারা তাদের অন্তরে এক ধরনের রোগ বহন করে" (সূরা আন-নূর: ১৫)।
মিথ্যাবাদীদের জন্য শাস্তি: "যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে এবং অন্যদের পথভ্রষ্ট করে, তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে" (সূরা আন-নাহল: ১০৫)।
হাদিসের আলোকে মিথ্যার শাস্তি
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিথ্যাকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট গুনাহগুলোর মধ্যে একটি বলেছেন এবং এর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
মিথ্যাবাদীদের স্থান জাহান্নামে: রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "নিশ্চয়ই মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায় এবং পাপ মানুষকে জাহান্নামে পৌঁছে দেয়।" (বুখারি, মুসলিম)
সবচেয়ে বড় মিথ্যা: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে কারও প্রতি মিথ্যা অভিযোগ করা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।" (তিরমিজি)
মুনাফিকদের অন্যতম চিহ্ন: "মুনাফিকদের তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে: যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে; যখন প্রতিশ্রুতি দেয়, ভঙ্গ করে; যখন আমানত রাখা হয়, বিশ্বাসঘাতকতা করে।" (বুখারি, মুসলিম)
আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়া: মিথ্যাবাদীরা আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকে এবং তাদের দোয়া কবুল হয় না।
সামাজিক ও পারিবারিক বিশৃঙ্খলা: মিথ্যার কারণে পরিবার ও সমাজে বিশ্বাস নষ্ট হয় এবং সম্পর্ক ভেঙে যায়।
আখিরাতে কঠিন শাস্তি: যারা মিথ্যা বলে ও ছড়িয়ে দেয়, তারা কিয়ামতের দিনে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।
ইসলামে মিথ্যা বলা একটি মারাত্মক গুনাহ এবং এর জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। সত্য ও সততার পথ অনুসরণ করাই মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর এবং পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায়।
কানন