
ছবি: সংগৃহীত
মহিলারা মাসিকের কারণে তাদের যে ভাঙতি রোজা হয়, শাওয়াল মাসে তারা কি আগে সেগুলো রাখবেন নাকি ছয় রোজা আগে রাখবেন এটি একটি কমন প্রশ্ন।
এ বিষয়ে অনেক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, যেহেতু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাওয়ালের রোজার ফজিলত পাওয়ার জন্য রমজানের রোজা রাখাকে সর্তক দিয়েছেন এবং বলেছেন, "রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের ফরজ রোজাগুলো রাখল, অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল" (মুসলিম ১১৬৪)।
কীভাবে এই সোয়াব হয়? অনেক ওলামায়ে কেরাম অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা প্রতিটা আমলের বিনিময় কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়ান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো অনেক গুণ বাড়ান। দানের ক্ষেত্রে আরো কয়েকশ' গুণ পর্যন্ত আল্লাহ বাড়িয়ে দেন। ১০ গুণ করে যে বাড়াবেন এইজন্য রমজানের ৩০ টি রোজা ও শাওয়ালের ৬ টি রোজা, মোট ৩৬। ৩৬ কে ১০ গুণ করলে ৩৬০, অর্থাৎ সারাবছর রোজা রাখার সোয়াব হয়।
সুতরাং, শাওয়ালের রোজা রাখতে হবে। এখানে কথা হলো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে রমজানের রোজা রাখল, এরপরে শাওয়ালের রোজা রাখল তার জন্য সারা বছরের সোয়াব। অর্থাৎ, রমজানের রোজা করে শাওয়ালের রোজা রাখতে হবে। এইজন্য অনেক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, মহিলারা তাদের ভাঙতির রোজা গুলো আগে রাখবেন। তাহলে, রমজানের রোজা রাখা হয়ে গেল, এরপরে শাওয়ালের ছয় রোজা রাখবেন। এটি একটি মত।
তবে আরেকটি মত হলো, মাসিকের জন্য ভাঙতি রোজা পরে অন্য মাসে রাখলেও চলবে, কিন্তু শাওয়ালের রোজা এই মাসেই রাখতে হবে। তাহলে শাওয়ালের রোজা ভাঙতির রোজার আগে করা যাবে।
উত্তম হলো, কাজা রোজা আগে করে শাওয়ালের রোজা রাখা। কোনো কারণে সম্ভব না হলে, শাওয়ালের রোজার পরও ভাঙতি রোজা রাখা যাবে।
মায়মুনা