ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

দুর্নীতি থেকে বাঁচতে নবীজির সতর্কতা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৯ মার্চ ২০২৫

দুর্নীতি থেকে বাঁচতে নবীজির সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি এর আরবি প্রতিশব্দ ফাসাদ। নেই কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা। তবে দ্বীন ও নীতিবিরোধী কাজকেই দুর্নীতি বলে। আর দুর্নীতির কারণে ধ্বংস হয়ে যায় একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র। তাই আল্লাহ কোরআনে পূর্বেকার লোকদের দৃষ্টান্ত দিয়ে বারবার সতর্ক করে বলেছেন, যারা দেশে সীমা লঙ্ঘন করেছে এবং তাতে বড় বেশি দুর্নীতি করেছে, তখন তাদের ওপর তোমার প্রভু শাস্তির কশাঘাত হানলেন।  

প্রত্যেক ব্যক্তিরই আলাদা সম্পদ রয়েছে। হতে পারে সেই সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বা কারও অধীনে। যার কাছে যে সম্পদ রয়েছে তা অবৈধ পন্থায় আত্মসাৎ করা অন্যায়।  কেউ যদি অবৈধ পন্থায় কারও সম্পদ ভক্ষণ করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।  এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান। (মুসনাদে আহমাদ ১৪৪৪১)
 
কোনো বস্তুকে কারও কাছে গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। আর আমানতের দায়িত্ব যথাযথ পালন কারীকে শরিয়তে আল আমিন বা আমানতদার বলা হয়। কেউ যদি তার দায়িত্বে সুচ পরিমাণ খেয়ানত করে তাহলে কেয়ামতের দিন সে সেই বস্তু নিয়েই উপস্থিত হবে। 
 
হাদিস শরিফে এমনই এসেছে, হজরত আদি ইবনে আমিরা আল-কিন্দি (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোনো কাজের দায়িত্বশীল করি, অতঃপর সে সুচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। 

 লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু। ইসলাম মানুষকে সকল ধরনের লোভ -লালসা থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ কোরআনে লোভ পরিহারকারীদের সফল মানুষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, যারা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকে তারাই সফলকাম। 
 
এক হাদিসে এসেছে পূর্বেকার অধিকাংশ মানুষের ধ্বংসের অন্যতম কারণ ছিল তাদের লোভ। রসুল (সা.) বলেন,  তোমরা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এ জিনিসই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে এবং পরস্পরকে রক্তপাত ঘটানোর ব্যাপারে উসকিয়ে দিয়েছে। লোভ-লালসার কারণেই তারা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করেছে। (মুসলিম)।

শহীদ

×