ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

মাহে রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ৮ মার্চ ২০২৫

মাহে রমজানে করণীয় ও বর্জনীয়

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি আরটিভি আয়োজিত মাহে রমাদান ‘প্রশ্ন করুন’ পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ, গবেষক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়েখ মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই রমাদানে আমাদের করণীয় কি এবং বর্জনীয় কি?

জবাবে শায়েখ মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “চমৎকার প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটি কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রশ্ন যে, রমজানে কি করণীয়?

এ বিষয়ে আমরা পবিত্র কোরআনুল কারীম থেকে যেটি পাই সেটি হলো, যে ব্যক্তি রমজানে উপস্থিত থাকবে পৃথিবীতে বালেগ অবস্থায়, সে যেন রোজা রাখে। রমজানের এক নম্বর করণীয় আল্লাহ নিজেই বলেছেন, সে যেন রোজা রাখে। এটা থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার দিয়ে আল্লাহ পাক নিজেই এই অর্ডারটা দিলেন। ডাইরেক্ট অ্যাকশন আছে, যেটা আপনি আয়াতটা পড়ে ফেলেছেন।

‘হে ঈমানদার লোকেরা, তোমাদের রোজা ফরজ করে দেয়া হলো।’

এরপর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু’র বিভিন্ন হাদিসে এই ফরজিয়াত পাওয়া যায়। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। তাহলে আমরা এই তিনটি দলিলের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম যে, রমজানে রোজা রাখা ফরজ।

যদি কোন মৃত্যু সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে তাকে রোজা রাখতে হবে। তবে তাদের এ ব্যাপারে দুটো অপশন আছে। এর মানে হলো, রমজানে যদি ট্রাভেল করে, ভ্রমণ করে, কোথাও যায়, সফরে যায়, তাহলে তাদের একটা অপশন আছে।

এক প্রশ্নকর্তা জানতে চান, যাদের বয়স অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে, বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে রমজান মাসে তো সে রোজা রাখতে পারছে না, ফিদিয়ার বিধানটা কি ইসলামী শরীয়াতে?

জবাবে তিনি বলেন, ফিদিয়াতুম মিসকিন একজন মিসকিনকে খাওয়ানো। এখন এই খাওয়ানোটা বেহতের, বেটার হচ্ছে সরাসরি খাইয়ে দেয়া।

জানতে চাওয়া হয়, সরাসরি বলতে কি বুঝাচ্ছেন আপনি?

জবাবে তিনি বলেন, আপনার বাড়িতেই এরকম মিসকিন যদি আপনি পান, তিনি আপনার বাড়িতে এনে তাকে খাইয়ে দেয়া। এটা হলো একেবারে, হুবহু, সরাসরি মানে হাদিসের আমল।

প্রশ্ন ছিল, উনি আরেকটা বিষয় এখানে জানতে চেয়েছেন, যদি মিসকিনের অভাব হয়?

জবাবে তিনি বলেন, মিসকিনদেরকে খাইয়ে দেয়া। আর আরেকটি হলো যে, হ্যাঁ খাবার খাইয়ে শুধু যে আমার সামনে আছে, তাকেও খাওয়ানো যেতে পারে। আমার দূরে আছে যিনি, তাকেও খাওয়ানো যেতে পারে। এখন বিকাশের যুগ, হ্যাঁ এখন এ মানি ট্রান্সফারের, এমন যদি তার আত্মীয়-স্বজনের ভিতরে কেউ থাকে, তাহলে এমন গরীব মিসকিন ব্যক্তিকে ওখানে টাকা যদি আপনি পাঠিয়ে দেন, সে যদি এ টাকা দিয়ে সে খাইয়ে নেয়, তার প্রয়োজন পূরণ করে, তাহলেও এটা আদায় হয়ে যাবে।

 

সূত্র:https://www.facebook.com/watch/v=496712233297935&rdid=PGu69JLcG5s3vTSn

মো. মহিউদ্দিন

×