ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

সব পাপের দ্বার উন্মুক্ত করে মদ ও ধূমপান

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৮ মার্চ ২০২৫

সব পাপের দ্বার উন্মুক্ত করে মদ ও ধূমপান

ছবি: প্রতীকী

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা যেখানে হালাল ও হারামের সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। ইসলামে সব ধরনের ক্ষতিকর বস্তু নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার মধ্যে মদ ও মাদক অন্যতম। শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, মদ্যপান ও মাদক সেবন এমন একটি পাপ যা সব ধরনের অপরাধের দ্বার উন্মুক্ত করে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে কোনো পানীয় বা বস্তু যা নেশার উদ্রেক করে তা হারাম।" এ কারণে ইসলামে মদ, মাদক এবং সব ধরনের নেশাদ্রব্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধূমপানও এক ধরনের আসক্তির পথ খুলে দেয়, যা ধীরে ধীরে ব্যক্তিকে মাদক গ্রহণের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন, "হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী এবং ভাগ্য নির্ধারক বস্তু—এসব শয়তানের কাজ, সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো যাতে সফলকাম হতে পারো।" (সূরা মায়েদা: ৯০-৯১)

ধূমপান শুধুমাত্র ব্যক্তির নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, বরং আশপাশের মানুষকেও ক্ষতির সম্মুখীন করে, যা সম্পূর্ণ হারাম ও কবিরা গুনাহ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য সেবন করেন, তাদের মুখ ও শরীর থেকে এক ধরনের দুর্গন্ধ ছড়ায়, যা অন্যের জন্য কষ্টের কারণ হয়।

ইসলামী বিধান অনুসারে, অপচয় করা হারাম। ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের ক্রয় এক ধরনের অপব্যয়, যা শয়তানের কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, "নিঃসন্দেহে অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।" (সূরা ইসরা: ২৭)

রমজান মাস একটি সুবর্ণ সুযোগ ধূমপানসহ সব ধরনের মাদক বর্জনের জন্য। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে ধূমপায়ীরা স্বাভাবিকভাবেই ধূমপান থেকে বিরত থাকেন। এটি ধূমপান ও নেশাদ্রব্য পরিত্যাগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা হতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে নিজের জীবন ও স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করা অপরিহার্য দায়িত্ব, তাই মাদক ও ধূমপানের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/Z0v_XyCxfBI?si=5NP1eOyFbP7fXwP5

এম.কে.

×