
ছবি: সংগৃহীত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, রাসুল (সঃ) এমন একটি সময় পৃথিবীতে এসেছেন যখন কন্যাদের জন্য পৃথিবী বাসযোগ্য ছিল না। কন্যার জন্ম হলে তারা বুকে কপালে চাপড়াতো এবং জীবন্ত কন্যা গেড়ে দিত। সেই সময়ে মুহাম্মাদ (সাঃ) পৃথিবীবাসীদের সামনে তুলে ধরেছেন যে, একটি কন্যা কতটা আদরের পাত্র হতে পারে।
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর চারটি কন্যা ছিলেন। তিনি এই কন্যাগুলিকে আদর ও স্নেহে লালন-পালন করেছেন। সেই সময় যখন কন্যাদের জন্ম হলে তাদেরকে জীবন্ত গেড়ে দেয়া হত, তখন মুহাম্মাদ (সাঃ) ঘোষণা দেন যে, একজন মহিলা যদি প্রথম সন্তান হিসেবে কন্যা জন্ম দেয়, তবে সেই মহিলা ভাগ্যবান। যদি কেউ দুটি কন্যাকে লালন-পালন করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে আদর, স্নেহ, শিক্ষা, এবং সঠিকভাবে লালন-পালন করে, তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, তিনি জান্নাতে আমার কাছে থাকবে, ঠিক যেমন দুটি আঙ্গুল একসাথে থাকে।
তিনটি কন্যা থাকলে, মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, এই কন্যাগুলি হাশরের ময়দানে তাদের বাবা-মায়ের জন্য জাহান্নামের আড়াল হয়ে দাঁড়াবে। এইভাবে মুহাম্মাদ (সাঃ) মানবতাকে ইন্সপায়ার করেছিলেন।
আজকের পৃথিবীতে জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর ৪৬ লাখ কন্যা শিশুর ভ্রণ হত্যা করা হচ্ছে। সুতরাং, মুহাম্মাদ (সাঃ) ১৫০০ বছর আগে যা শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেটি এখনো বাস্তবতার সাথে সম্পর্কিত।
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কন্যাদের মধ্যে ছিলেন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা, যিনি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক ছিলেন। তিনি যখন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে আসতেন, তিনি তাঁর সম্মানে দাঁড়াতেন এবং কপালে চুমু দিতেন।
আবার, মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বিতীয় কন্যা রুকাইয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা যখন অসুস্থ হন, তখন তিনি উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেছিলেন, "তুমি রুকাইয়ার খেদমতে থাকো, জিহাদে যেয়ে সওয়াব পাবে।"
মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর কন্যাদের প্রতি এমন অসীম ভালোবাসা দেখিয়েছেন, যা পৃথিবীকে দেখিয়েছে কিভাবে একজন বাবা তার কন্যাকে ভালোবাসতে পারেন।
এভাবে মুহাম্মাদ (সাঃ)আমাদের সমাজে কন্যাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং স্নেহ প্রদানের এক অসীম উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
নুসরাত