
ছবিঃ সংগৃহীত
ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু একটি ধ্বংসাত্মক চর্চা যা মূলত অন্যের ক্ষতি সাধন কিংবা নিজের লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়। এতে সাধারণত দুষ্টু জ্বিন, পরী বা শয়তানের সাহায্য নেওয়া হয় অথবা কুফুরি কালাম পাঠ করা হয়। কালো জাদুর ইতিহাস খুবই পুরনো এবং পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এটি চর্চা হয়, বাংলাদেশের পরিস্থিতিও তার ব্যতিক্রম নয়।
আলেমগণের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে কালো জাদুর চর্চা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শরিয়ত অনুমোদিত উপায় অবলম্বন করা উচিত। ইসলামে কালো জাদু হারাম এবং কুফরি কাজ হিসেবে বিবেচিত, যা মানুষের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়। কেউ যদি সচেতনভাবে এই ধরনের জাদু করে, তাহলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় এবং ইসলামী শাস্তি হিসেবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
কালো জাদুর প্রভাব সাধারণত শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করে। যেমন, রোগ-বালাই, ঔষধের কার্যকারিতা না পাওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ, চাকরি বা ব্যবসায় বিঘ্ন হওয়া ইত্যাদি।
কালো জাদু থেকে বাঁচার জন্য ইসলামে বেশ কিছু উপায় ও দোয়া রয়েছে:
কালো জাদু শনাক্ত করার উপায়: যদি কেউ কোরআনের তেলাওয়াত করতে না পারে, বা তা শুনলে অস্বাভাবিক আচরণ করে, তাহলে তাকে কালো জাদুর প্রভাব থেকে আক্রান্ত বলা যেতে পারে। এছাড়া, অত্যধিক হাই তোলা, ঝিমুনি আসা এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি লক্ষণও হতে পারে।
জাদুটোনা থেকে বাঁচার আমল: যদি কোনও ব্যক্তি জানেন যে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চুল বা অন্য কোনও বস্তু রেখে জাদু করা হয়েছে, তাহলে ওই স্থানটি খুঁজে বের করে তা পুড়িয়ে ফেলা উচিত। তারপর আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোরআন এর আয়াত ও দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতে হবে।
ঝাড়ফুঁক করার পদ্ধতি: আয়াতুল কুরসি, সুরা আরাফ, সুরা ইউনুস, সুরা ত্বহা ইত্যাদি কোরআনের আয়াতগুলো পড়ে ফুঁক দিলে এর প্রভাব কমানো সম্ভব। এছাড়া, বিশেষ দোয়া যেমন, اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ, بِسْمِ اللهِ أرْقِيكَ ইত্যাদিও পড়া যেতে পারে।
বাচ্চাদের রক্ষায় কার্যকরী দোয়া: বাচ্চাদের কালো জাদু থেকে রক্ষা করতে "আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি" এবং "বিসমিল্লাহিল্লাজি" নামক দোয়া পড়া যেতে পারে।
এছাড়া, বরই পাতায় আয়াত ও দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক এবং গোসল করানোও একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব আমল এবং দোয়া আল্লাহর সাহায্যে কালো জাদুর প্রভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কানন