
রমজান মাসে রোজা পালনকারী ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রশ্ন হলো, কয়েল, আগরবাতি বা ধূপের ধোঁয়া গ্রহণ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় কি না?
প্রথমত, দিনের বেলা মশার কয়েল, ধূপ, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানো সম্পূর্ণ বৈধ। এগুলো জ্বালালে সুগন্ধি ছড়ায় এবং কিছু ধোঁয়া বাতাসে মিশে যায়, যা পরিবেশকে সুগন্ধময় করে তোলে। তবে এই ধোঁয়া সরাসরি নাক বা মুখে প্রবেশ না করলে রোজার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ধোঁয়া গ্রহণ করে, তবে তাতে রোজা নষ্ট হবে না।
কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েল, আগরবাতি বা ধূপের ধোঁয়া মুখ দিয়ে টেনে নেয় বা নাক দিয়ে গ্রহণ করে, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। কারণ, এটি ধূমপানের অনুরূপ, যা রোজার নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
এছাড়া রোজা অবস্থায় ধূমপান করা সম্পূর্ণ হারাম। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সামান্য পরিমাণ ধূমপান করলেও রোজা নষ্ট হয়ে যায়। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ধূমপান করে, তাহলে তার ওপর কাজা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে।
কাজা ও কাফফারার বিধান
যদি কেউ রমজানের রোজা রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু গ্রহণ করে, যা রোজা ভঙ্গের কারণ হয়, তাহলে তাকে সেই রোজার পরিবর্তে পরবর্তী সময়ে একটি রোজা রাখতে হবে (এটি কাজা হিসেবে গণ্য হবে)।
আর কাফফারা হিসেবে রয়েছে তিনটি বিকল্প পদ্ধতি:
১. একটি দাস মুক্ত করা (বর্তমানে প্রযোজ্য নয়)।
২. ৬০ জন দরিদ্রকে দুই বেলা পরিপূর্ণ আহার করানো।
৩. ধারাবাহিকভাবে ৬০ দিন রোজা রাখা।
সুতরাং, রমজানের রোজা অবস্থায় সতর্ক থাকা উচিত, যাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও কোনো কিছু মুখে বা নাকে প্রবেশ না করে, যা রোজার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রাজু