ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

মহানবী (সা.) এর আমলেই যে চারজন সাহাবি বাংলাদেশে এসেছিলেন

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ৫ মার্চ ২০২৫

মহানবী (সা.) এর আমলেই যে চারজন সাহাবি বাংলাদেশে এসেছিলেন

প্রতীকী ছবি

নবীজি (সা.) এর যুগ থেকেই তাঁর নির্দেশে সাহাবিগণ ইসলামের শান্তির বাণী নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেছেন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবদ্দশায়ই চারজন সাহাবি বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ইতিহাসের এক বর্ণাঢ্য অধ্যায় রচনা করেছিলেন। নবীজির নির্দেশেই এই চারজন সাহাবি বাংলার মাটিতে ইসলাম প্রচারের জন্য এসেছিলেন বলে ধারণা ইসলামি চিন্তাবিদদের।

নবী (সা.) এর জীবদ্দশায় তাঁর চাচাতো মামা হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)সহ আরও তিনজন সাহাবি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের আরাকান এলাকায় আসেন। এই সহাবিগণ শুধু এই অঞ্চলেই ইসলাম প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকেকনি, তাঁরা চীনের ক্যান্টন (বর্তমান গুয়াংজু) পর্যন্ত ইসলামের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন।

চীনের ক্যান্টন সমুদ্রের তীরে এখনও হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) এর নির্মিত একটি মসজিদ ও তাঁর কবর রয়েছে।

অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে সন্দীপ ও রামুসহ বাংলার বিভিন্ন স্থানে আরব বণিক ও মুবাল্লিগগণ ইসলাম প্রচার করেছিলেন বলে ইতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া রাজশাহীর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুমিল্লার ময়নামতিতে প্রথমিক আব্বাসীয় যুগের মুদ্রা পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে ৬৯ হিজরিতে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানের নাম ও ভাষায় আরবি অপভ্রংশের প্রচুর উপস্থিতি এসব নিদর্শনকে আরও প্রামণিত করে।

ইসলাম প্রচারের কাজে প্রচুর সংখ্যক আরব, ইরান ও তুর্কি মুসলাম এবং সুফি-দরবেশগণের আর্বিভাব ঘটে। তাঁরা ব্যাপকভাবে এদেশে বসতি স্থাপন করেন। তাঁদের বংশধর বৃদ্ধির মাধ্যমেই পরবর্তীকালে বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।

চট্টগ্রামে তখন একটি মুসলিম রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। হিজরি প্রথম দিক থেকেই বাংলায় ইসলামের আগমন ঘটেছিল। তবে ওই সময় ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে কাদের আগমন ঘটেছিল, সে সম্পর্কে ইতিহাসে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

পরবর্তীকালে আগতদের মাত্র কয়েকজনের নাম জানা যায়, যাঁরা মূলত মধ্য এশিয়া ও পারস্য থেকে এদেশে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে শাহ মুহাম্মদ সুলতান বলখী, শাহ মুহাম্মদ সুলতান রুমি, বাবা আদম শহীদ, শাহ মখদুম রুপোশ, জালাল উদ্দিন তাবরিজি, শাহ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহ এবং হজরত শাহজালাল (রা.)সহ আরও অনেক মুবাল্লিগের নাম ইতিহাসে এসেছে। তাঁদের দাওয়াতি তৎপরতায় বর্ণ-বৈষম্য, অত্যাচার ও শাসন-নিপীড়নে বিপর্যস্ত হিন্দু-বৌদ্ধগণ দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এসময় অনেকে শাসকও ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে এবং তা প্রচারেও সাহায্য করেন।

 

সূত্র: https://shorturl.at/i6yR0

রাকিব

×