ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

নারীরা রমজান কিভাবে কাটাবেন?

প্রকাশিত: ০২:৪৩, ৫ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০২:৪৯, ৫ মার্চ ২০২৫

নারীরা রমজান কিভাবে কাটাবেন?

ছবি : সংগৃহীত

রমজানুল মোবারকের প্রথম অংশ রহমতের মধ্যে আমরা অবগাহন করছি।

সম্প্রতি চ্যানেল ২৪ এর  আয়োজিত ‘বরকতময় রমজান’ আলোচনা বিষয়টি হলো ‘নারীরা রমজান কিভাবে কাটাবে’। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, দার্বাটি মদিনাতুল উলুম কাবিল মাদ্রাসার সম্মানিত প্রধান মুহাদ্দিস, ডক্টর মাওলানা মুর্শিদ আলম সালেহী।

প্রশ্ন ছিল, নারীদের রমজান, নারীরা কিভাবে রমজান কাটাবে, যদি আপনি এ বিষয়ে বলেন।

জবাবে তিনি বলেন, ধন্যবাদ, সুযোগ্য উপস্থাপক। যে নেক আমল করতে চাই, সে নারী হোক অথবা পুরুষ হোক, তার নামটা মুমিন। অর্থাৎ সে একজন আল্লাহর প্রিয় ঈমানদার বান্দা হিসেবে আল্লাহর খাতায় তার নামটা লিপিবদ্ধ হয় এবং সে প্রবেশ করবে জান্নাতে। অর্থাৎ নারী হোক, পুরুষ হোক, যে নারী হওয়ার কারণে, যে তার জান্নাতের বারিন্দায় থাকবে এমন নয় অর্থাৎ জান্নাতে হুবহু পুরুষ যে জান্নাতে থাকবে, নারীরাও সে একই জান্নাতে থাকবে।

এবং রাসূলুল্লাহ চমৎকার বলছেন, যে রমজান হচ্ছে মুকাফারাতুন। এটি হচ্ছে গুনাহ মাফের একটি কেন্দ্রবিন্দু। আল্লাহ তায়ালা তৈরি করেছেন, উম্মতকে কিভাবে বাঁচাবেন? একজন নারী চাইলে, তিনি রমজানুল মোবারকে তার গুনাহগুলোকে মাফ করাতে পারেন। এজন্য আল্লাহর রাসূল মুসলিম শরীফের আরেকটি হাদিসে ইমাম মুসলিম রাহিমাহুল্লাহ, চমৎকার তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস সন্নিবেশিত করেছেন, যে নারীরা চারটি কাজ করলে, তাদের জান্নাতি, জান্নাতের গ্যারান্টি দিয়েছে।

এই হাদিসটা একটা প্যাকেজ, নারীদের জান্নাতে যাওয়ার জন্য প্যাকেজ তৈরি করেছেন। যে নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে পড়ে এবং এই যে রমজানুল মোবারক চলছে, এই রমজানুল মোবারকের সিয়াম সাধনা যথার্থভাবে পালন করে, যেভাবে রমজান অধিকার চায়, সেভাবে বাস্তবায়ন করে এবং নিজের সতীত্বের হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্যতা যথাযথভাবে সে পালন করে, তাহলে আল্লাহর যে আটটি জান্নাত রয়েছে, আটটি জান্নাতের যেকোনো জান্নাতের দরজা দিয়ে, সে আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

তাহলে নারীদের তো এত সুন্দর প্যাকেজ, কিন্তু পুরুষের জন্য এভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। পুরুষরা কিন্তু বাহিরে প্রচুর কাজ করতো, স্ট্রাগল করতে হয়, ফ্যামিলি মেইনটেইন করতো, অফিস, চাকরি বা ইত্যাদি, আর্ন করতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ছলচাতুরি এর আশ্রয় নিতে হয়, নারীরা যদি বাড়িতে বসে, তারা যদি রমজানকে এভাবে যদি ঢেলে সাজায়, যদি ধরুন, আমরা সাহারি থেকে যদি শুরু করি, সাহারিতে যখন উঠবো এর আগে তাহাজ্জুতের নামাজটা চমৎকার পড়তে পারি এবং আমার যে সন্তানগুলো রয়েছে, তাদেরকেও জাগ্রত করে তাহাজ্জুতের অভ্যস্ত করতে পারি। এরপর খাবার-দাবারের আয়োজন চলছে, খাবার-দাবার খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে, যদি একটু সময় বিশ্রাম যায়। এরপরে যে সকালে আমরা দেখেছি, আপনার নিশ্চয় মনে আছে ফুরকানিয়া মাদ্রাসার মক্তবের যে শিক্ষা ছিল, এটি কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একজন মা যদি তার সন্তানদেরকে সেই ঘুম থেকে উঠিয়ে মক্তবে পাঠায়, তাহলে কিন্তু ওই যে বাচ্চা যে লেখাপড়া করে যে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, তার যে নেক আমল হবে, সমপরিমাণ কিন্তু একজন নারীও পেয়ে যাচ্ছে এবং স্বামী যদি একটু অনেক সময় দেখা যায়, অনেক স্বামীরা এবাদতের ক্ষেত্রে একটু গড়িমশি থাকে, আপনি কিন্তু নারীদেরকে লক্ষ্য করবেন, তারা কিন্তু সিয়ামে আইয়ামে বিজের তিনটি রোজা রাখে। প্রতি চন্দ্র মাসের এই রোজা। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে এবং কোরআন তেলাওয়াত যথার্থের রোজা রাখে এবং দেখবেন অনেক স্বামী দেখেছি, খুব গর্ব করে বলে, আমরা আসলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পড়তে পারি না, কিন্তু সেরকম একজন স্ত্রী পেয়েছি, মাশাআল্লাহ।

যে তিনি সিয়াম সাধনা করেন, নফল রোজা রাখেন, দান-সদকা করেন, ভুড়ি প্রশংসা করেন। এজন্য আমি বলব, আমাদের মা-বোনরা যেহেতু প্রশংসার দাবিদার, তাহলে তারা এই রমজানকে কেন ছেড়ে দিবেন। তারা সংসারের যতগুলো চাপ রয়েছে, আবার দেখা যায়, আমাদের পুরুষদেরও কিছু সমস্যা আছে, ইফতারির রকমারি আইটেম করতে গিয়ে, আমাদের মা-বোনদেরকে এবাদতের ঘাটতি করা হয়।

চাপ দেওয়া হয়, চাপ দেওয়া হয়। এটাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখবেন?

জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এটি আমি যথেষ্ট অসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখছি ।এক কথায় কারণ হচ্ছে যে, ঘর্মাত্মক হয়ে, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন কিন্তু তারাবির নামাজটা ঠিকমত পড়তে পারে না। দেখা যায় ক্লান্ত হওয়ার কারণে, এশার নামাজ কোন রকম পড়ে বা ফরজের পর চার থেকে আট রাকাত, ওই যে আট রাকাতের যে গ্রুপ আছে, তখন সেই হাদিসটা এনে হেচড়ে নিয়ে, ওই জায়গায় মা-বোনরা রেখে দেন। যে অন্তত যাই হোক, আমার তো মন্দের ভালো হিসেবে আট রাকাত পড়ছি।

এটার জন্য কিন্তু রকমারি ইফতারিও একটা দায়ী। এইজন্য মা-বোনদেরকে রমজানের থেকেই আমরা স্বামীরা কারণ রাসূলুল্লাহ বলছেন যারা অধীনস্থ রয়েছে তাদেরকে, যে যারা অধীনস্থ রয়েছেন, তাদের কাজকে হালকা করে দেওয়া, তাহলে অধীনস্থ তো আমার স্ত্রীও, তাকে আমরা সেভাবে যদি একটু সুযোগ করে দেই, তাহলে রমজানুল মোবারককে তারা কিন্তু ঢেলে সাজাতে পারেন এবাদতের জন্য।

এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারে যাতে হোক, আমার মা-বোনদেরকে আল্লাহতায়ালা এবং নবী যেভাবে হাইলাইটস করেছেন, আমরাও তাদেরকে এবাদতের জন্য সামনে একটু অগ্রসর করে দিব। তাহলে আমাদের যে প্রজন্ম রয়েছে, তারাও কিন্তু মাকে দেখে দেখে, কারণ মা হচ্ছে প্রথম ইউনিভার্সিটি। এটি প্রাইমারি স্কুল না, একেবারে ইউনিভার্সিটি লেভেলে যা এখন শিখা যায় না, মা থেকে কিন্তু সেই ইউনিভার্সিটির শিক্ষাটা আমরা ছোট্টবেলায় শিখেছি।

ডক্টর মাওলানা মুর্শিদ আলম সালেহীর নিকট পরবর্তী প্রশ্ন ছিল, নারীদের রমজান ভালোভাবে কাটানোর জন্য পুরুষদের কিন্তু যথেষ্ট ভূমিকা আছে, আপনি যদি  এ বিষয়ে বলতেন?

জি, পুরুষদের ভূমিকা তো আমি আগেও বলছিলাম। পুরুষরা একটু কাজকে সহজ করে দেওয়া এবং দেখুন, আমরা অনেক সময় পুরুষদের একটা অনেক সময় আমরা নাস্তিক্যবাদীদের একটা কথা আছে, পুরুষ শাসিত সমাজ। আমরা এই ধরনের কথাবার্তা শুনে থাকি। এটি আমি শতভাগ একমত না হলেও, কিছু যে নাই, তা নয়।

যেমন ধরুন, একজন স্ত্রী আমার ঘরে আছে, সে আমার অধীনস্থ, তাকে দাসী হিসেবে মনে করা যাবে না। কাজের মেয়ে হিসেবে মনে করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের দিকে তাকান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের ময়দান থেকে এসেছেন, সময়ে তিরমিজিতে এসেছে, আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন যে, পোশাক এখনো খোলেনি ।যুদ্ধের বর্মা এখনো শরীরে আছে, তরবারি এখনো হাতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বলছেন আয়েশা আমি তোমার তরকারি প্রস্তুত করে দেই, তুমি রুটিগুলো তৈরি করো।

এবং আম্মাজান আয়েশা বলতেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ আমাকে আর লজ্জা দিবেন না। আল্লাহর রাসূল বলছেন, নারে আয়েশা, তোমাকে যেভাবে স্বামী হিসেবে আমার সহযোগিতা করা দরকার, সেভাবে আমি পারছি না। এজন্য এই সুযোগটি আমি হাতছাড়া করতে চাই না।

এবং দেখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে ইফতারি খেতে বসেছেন, খাবার খেতে বসছেন। আম্মাজান আয়েশার মুখে লোকমা উঠিয়ে দেননি, আম্মাজান আয়েশা বলেন, আমার যে নয় বছরের একটা জার্নি ছিল, পয়গম্বরের সাথে এই নয় বছরের জার্নির ভিতরে কখনো এরকম ব্রেক  হয়নি, যে আমাকে তিনি খাবার মুখে উঠিয়ে না দিয়েছেন, এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, যতগুলো সাদাকার আমল রয়েছে, তার মধ্যে হাত্তার লোকমা, স্ত্রীর মুখে লোকমা উঠিয়ে দেওয়া, এটিও সাদাকার সওয়াব।

সাহাবায়ে কেরাম বলছেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সেই সদকার সওয়াবটা কেমন হবে? আল্লাহর রাসূল বলছেন যে, তোমরা তো মরুভূমির জাহাজ চিনো, যে ইয়া রাসুলুল্লাহ চিনি। সেটি জামালুন বা নাকাতুন উট বা উষ্টি। তাহলে এই উট বা উষ্টি যদি আল্লাহর রাস্তায় দান করা হয়, গরীব, অসহায়, দোস্তদের মাঝে দিলে যেই সওয়াব হয়, রব্বুল আলামীন স্ত্রীর মুখে একটু লোকমা উঠিয়ে দেওয়ার কারণে, সে সওয়াব দান করে।

যদি এভাবে নারীদেরকে একটু সহযোগিতা আমরা করি, ধরুন, ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে আমাদের মা-বোনরা এত পেরেশানি এবং ঘর্মাত্মক হয়ে যান, শরবত তৈরি করবেন নাকি শাশুড়িকে দিবেন, নাকি নানা আত্মীয়-স্বজন, নাকি সন্তানকে?

এই মুহূর্তে আমি একটু ইফতারি তৈরি করি, একটু শরবতের ব্যবস্থা করি, তাহলে দেখা যায়, কিন্তু এই যে তার রান্নার কাজে সহযোগিতা করার কারণে, স্বামী-স্ত্রীর একটা মানে চমৎকার একটা বন্ধনও সৃষ্টি হলো। রমজান কিন্তু এই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন, আত্মীয়তার, ভালোবাসা আরো আরো বৃদ্ধি করে দেয়। এজন্য রমজানুল মোবারক এবাদতের মৌসুম। মা-বোনদেরকে আমাদের সুযোগ করে দিতে হবে। আর যদি মা-বোন সুযোগ যদি পান, তখন একজন মা ইচ্ছে করলে তিনি কিন্তু প্রতিদিন তার সন্তানকে নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দিতে পারেন।

আপনি দেখবেন, যে আমরা ছোট্টবেলায় তো পড়েছি যে, ‘আল মাদ্রাসাতুল উম্মুহাত লিল বানিনা আল বানাত’। যে কন্যা এবং পুত্র এই সন্তানদের জন্য মা হচ্ছে একটি মাদ্রাসা, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাহলে এই যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে হবে? মা যদি কোরআন পড়েন ঘুম থেকে উঠে, তাহলে সন্তান কিন্তু পড়বেন। আমরা এই রমজান মাসটা কিন্তু উত্তম একটি মৌসুম, কোরআন নাযিলের মাস, যেহেতু আর এই কোরআন নাযিলের কারণে রমজানের এত সম্মান। তাহলে আমরা কোরআনকে একটু সম্মান করার জন্য, মা-বোনদের কিন্তু ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। যে তার যদি একটি আগ থেকেই একটি চিন্তা ভাবনা থাকে যে, আমার সন্তান কোরআন পড়তে পারে না, আমি আমার সন্তানকে অবশ্যই পড়াবো।

তাহলে কিভাবে একজন ওস্তাদকে এখন থেকেই, আমাদের রমজানের আগ থেকে টার্গেট করতে হবে এবং যখন ওই ওস্তাদ পড়াবেন, মা আবার যদি তিনি কোরআনের শিক্ষা আগ থেকে অর্জন করেন, তিনি বলবেন যে, মা-বাবা দেখি তো, তুমি একটু আমাকে পড়ে শোনাও তো বা আমার সূরা ফাতেহাটা হচ্ছে কিনা, একটু দেখো তো! বাচ্চারা কিন্তু ভুল ধরতে খুব পছন্দ করেন। ইচ্ছে করে একটু ভুল ধরেন, যেমন আলহামদুলিল্লাহর জায়গায় যদি আলহামদুলিল্লাহ জলদি পড়লাম, তখন এ মা তোমার ভুল হয়েছে, ভুল হয়েছে। কি মজা, কি মজা! এই যে বলছেন, এই যে আনন্দের মাঝে মাঝেও কিন্তু একটু ভুল ধরে, হ্যাঁ, তাহলে বাবা তুমি আমাকে আবার বলতো দেখি। তখন পড়ো, এভাবে ধীরভাবে আলহামদুলিল্লাহ।

এই যে অনেক সময় সন্তানের কাছে কিন্তু সন্তানকে ওস্তাদ বানাতে হয়। তাহলে সন্তানরা কিন্তু ওই টিচারের ভূমিকা রাখতে খুব পছন্দ করে। এভাবে কিন্তু আনন্দের সাথে কিন্তু আমরা, এই রমজানের ভিতরে একজন মা ইচ্ছে করলে সুন্দর করে, এই আমাদের পরিবারটাকে সাজাতে পারি। আপনি দেখবেন, আপনার মা ছোট্টবেলায় যেটি শিক্ষা দিয়েছেন, সেটি কিন্তু আপনার এখনো ব্রেনে কিন্তু একেবারে সেটআপ আছে।

ধরুন, এই যে রমজানের আগে শবে বরাত গেল, আমরা দেখেছি ,আমাদের এই মা-বোনরা বলতেন যে, শবে বরাতে তোমরা গোসল করতে হবে, ইস্তেগফার বেশি বেশি পাঠ করতে হবে, বেশি বেশি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম’ ৪০ বার পড়তে হবে। এই যে কতগুলো দোয়া মা শিক্ষা দিয়েছেন, এখনো কিন্তু আমাদের ব্রেনের ভিতরে সেগুলো কিন্তু ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে আছে।

এজন্য মা যদি সেভাবে বাচ্চাদেরকে আগ থেকেই প্রস্তুতি এবং স্বামীকেও যদি বলে, তোমার অফিস টাইম কিন্তু আমি জানি তিনটা পর্যন্ত, কাজেই তুমি অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসবে। বাচ্চাদের সাথে আমরা একসাথে মজা করে ইফতারি খাবো। তাহলে স্ত্রী কিন্তু স্বামীকেও কিন্তু তার হ্যান্ডেলিং করার সুযোগ রয়েছে। সেইভাবে ভালোবাসার মাধ্যমে তারপরে শ্বশুর-শাশুড়ি আছে, নিজের মায়ের মতন শ্বশুর-শাশুড়িকে যদি খাবারটা দেওয়া হয় বা প্রতিদিন আমার একটা এম্বিশন বা আমার একটা প্রস্তুতি, আমার একটা ইচ্ছা থাকতে হবে যে, অন্তত একজন হলেও আমার যাতে ইফতারের সঙ্গী হয় এবং সাহারি প্রস্তুত করাটা, ইফতারি প্রস্তুতি করা, বিরক্তির কারণ মনে করা যাবে না। পরিবারের জন্য আমি এটা এবাদত মনে করি, তাহলে কিন্তু একজন নারী সফল, নারী সফল উদ্যোক্তা এবং জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে তার অবশ্যই প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। 

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_sH9jxn4vg0

মো. মহিউদ্দিন

×